জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দেয়ার পর লঙ্কানদের পাত্তাই দিল না বাংলাদেশ। ১৬৩ রানের ব্যবধানে জিতে ফাইনালও নিশ্চিত করেছে মাশরাফীর দল। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বেশি রানের ব্যবধানে পাওয়া জয়।
বাংলাদেশ এর আগে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে খুলনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৬০ রানে হারিয়েছিল। আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২৯২ তুলে উইন্ডিজকে ১৩২ রানে অলআউট করেছিল টাইগাররা।
ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রতিটি দল চারটি করে ম্যাচ খেলবে। সেই হিসেবে বাংলাদেশের বাকি থাকছে দুটি ম্যাচ। কিন্তু তার আগেই ফাইনাল নিশ্চিত টাইগারদের। টানা দুই জয়ে বোনাস পয়েন্ট এসেছে স্বাগতিকদের টেবিলে। তাতে বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন ১০। ৪ পয়েন্ট নিয়ে জিম্বাবুয়ের দুইয়ে, দুই ম্যাচ খেলে। আর টানা দুই হারে শ্রীলঙ্কা এখনও পয়েন্টের খাতাই খুলতে পারেনি।
বাংলাদেশ এদিন আগে ব্যাট করে ৩২০ রান সংগ্রহ করে। তামিম ইকবাল ৮৪, মুশফিক ৬২ এবং সাকিব ৬৭ করেন। এরপর বোলিংয়ে দারুণ ধারাবাহিক ছিল স্বাগতিকরা। প্রথম ১৩ ওভারে শ্রীলঙ্কার তিন উইকেট তুলে নিয়ে চাপ সৃষ্টি করেন মাশরাফীরা। এই সময়ে মাশরাফীর কৌশলী স্লোয়ার আর রুবেলের মাপা বাউন্সার নজর কাড়ে বেশি।
অবাক করার বিষয় শুরুর ১২ ওভারে সাকিব কিংবা মোস্তাফিজকে ব্যবহার করেননি মাশরাফী। কিংবা বোলিংয়ে টানেননি সানজামুলের পরিবর্তে একাদশে ঢোকা পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে।
মোস্তাফিজ আক্রমণে আসেন ১৩তম ওভারে। পরে ১৯তম ওভারে প্রথম সাফল্য পান।
নাসিরকে দিয়ে ওপেনিং করানোর পর রুবেল আর অধিনায়ক নিজে আক্রমণে থাকেন।
নাসির বোলিংয়ের শুরু করেন। তৃতীয় ওভারে কুশল পেরেরাকে (১) ফেরান। এরপর থারাঙ্গাকে (২৫) ফেরান মাশরাফী।
অধিনায়ক চান্দিমাল মিডলঅর্ডারে ৩৯ বলে ২৮ করে দলকে পথে রাখার চেষ্টা করেন। সাকিব তাকে রানআউট বানিয়ে পথ দেখান। ম্যাচের অনেকটা সময় পর বোলিংয়ে আসা সাকিব ২৬তম ওভারে পরপর দুই বলে গুনারত্নে (১৬) এবং হাসারাঙ্গাকে (২৯) ফিরিয়ে হ্যাট্রিকের সম্ভাবনা জাগান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সেটা না হলেও শ্রীলঙ্কাকে পুরোপুরি ব্যাকফুটে ঠেলে দেন তিনি। এই অবস্থা থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি হাথুরুর ছেলেরা।
সাকিব ৮ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। মাশরাফী ৩০ রান দিয়ে দুটি। একটি করে শিকার নাসির, মোস্তাফিজ এবং রুবেলের।