“কলম্বোর বাড়িটি মুসলমানদের কাছ থেকে কিনেছি। কেনার পর দুই-তিন দিন ধরে পুরো বাড়ির আনাচ-কানাচ ধুয়ে-মুছে পাক-পবিত্র সাফ-সুতরা করে তারপর সেই বাড়িতে উঠি।” যে ভদ্রমহিলা কথাটি বললেন তিনি আমার স্ত্রীর কলিগ এবং কানাডায় আমাদের প্রতিবেশি। শ্রীলংকান। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বি। আমেরিকায় পড়াশোনা করেছেন। স্বামীও আমেরিকান পিএইচডি। তাও বিজ্ঞানে।উইনিপেগেও বিজ্ঞান ল্যাবেই চাকরি করেন। জানেন আমার স্ত্রী মুসলিম। তবুও তীব্র মুসলিমবিদ্বেষি ঘটনাটি শোনাতে তার বাধেনি!
‘Stigma’ , ‘hatred’ বা ‘prejudice’ শব্দগুলোর যুতসই বাংলা শব্দ নাই। যাই হোক, ঘৃণার জগদ্দল পূর্বানুমানে (prejudice) ঠাসা মগজওয়ালা মানুষদের মোকাবেলার আরো অন্তত দশটি অভিজ্ঞতার আলোকে জানতে আগ্রহী হলাম -এতটা ঘৃণা মানুষ কোথায় পায়? মনে পুষেই বা রাখে কীভাবে? ‘উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিতরা জাতপাত-ঘৃণা সংকীর্নতা হতে মুক্ত’ ধারণাটিরই বা সত্যতা কতটুকু?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে নেমে কেঁচো খুড়তে সাপ বেরুলো! শ্রীলংকা সম্ভবত পৃথিবীর একমাত্র দেশ যার রাষ্ট্রীয় দলিল দস্তাবেজ-পরিসংখ্যান অনুযায়ী মুসলমান নাগরিকরা “এথনিক গ্রুপ” ও “এথনিক পিপল”। ধর্ম-পরিচয় ধরে কীভাবে সাধারন নাগরিককে নৃজাতি-বর্গে ফেলা সম্ভব? নৃবিজ্ঞান মতে তো একেবারেই অসম্ভব! [বাংলাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বিদের বা ভারতে মুসলিমদের ‘এথনিক পিপল’ বলা হলে কী ধরণের বিচ্ছিরি গা ঘিনঘিন অসহনীয় অনুভূতি হতে পারে ভাবা যায়?] একান্ত নিজেদের মানুষকেই এইভাবে পর দেখিয়ে ঝেড়ে ফেলে দেয়ার তরিকাকেই সমাজবিজ্ঞানী Georg Simmel সজ্ঞানে ‘ডিসোসিয়েটিং এলেমেন্টস’ জারি রাখা বলেন।
এই অবাস্তব পরিচিতি নির্মাণ সম্ভব হওয়ায় ‘মুসলিমরা এখন শ্রীলংকায় নতুন তামিল’। মিডিয়ার অমনোযোগের কারণে আগে জানা ছিল না মুসলিম নিবর্তনে শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, চীন ও থাইল্যান্ডের চেয়ে একেবারে পিছিয়ে নেই। তামিল নিধন শেষ। এখন সিংহলিরা প্রধান শত্রু হিসেবে দেখছে মুসলমানদের। কলম্বোর পত্রপত্রিকায় বেশ লেখালেখি হচ্ছে মুসলিমরা ভূমিপূত্রও নয়, মধ্যপ্রাচ্য হতে আসা কেউও নয়, তারা নিম্নবর্ণের ভারতীয় হিন্দু হতে ধর্মান্তরিত। যদিও শক্ত প্রমান নাই তবুও বলা হচ্ছে মুসলিমরা ধর্মান্তরকরণের কারণে কতল হবার ভয়ে কয়েকশ’ বছর আগে ভারত হতে পালিয়ে আসা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মুসলমানদের উপর এবং তাদের উপাসনালয় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর আক্রমন।
প্রশ্ন হচ্ছে বারো চৌদ্দশত বছর আগে তেমনটি যদি ঘটেও থাকে যুগ যুগান্তর ধরে ঘরেই জন্মানো ঘরের মানুষগুলোকে ‘অন্য কেউ’ বা ‘বহিরাগত’ প্রমান করতে যাওয়ার চেষ্টাটিই অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় কি? তা ছাড়া এই রকম স্থানান্তরের ইতিহাস তো সারা পৃথিবীর সব মানুষের কম-বেশি নিত্যদিনের স্বাভাবিক ইতিহাসই! ‘ঘৃণা’ নির্মাণের সজ্ঞান রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেই এ’সব ন্যারেটিভ জন্ম দেয়া হচ্ছে।
‘ঘৃণা’ প্রকল্পটির লক্ষ্যই থাকে ‘বিরাগ’কে জগদ্দল পাথরের মত মগজে গেঁথে দেয়া। একবার গেঁথে দিতে পারলে পাথর পেরিয়ে আলো ভিতরে আসতে পারেনা। উচ্চশিক্ষা, জ্ঞানবিজ্ঞানও নিষ্ফল হয়ে উঠে। Pansy Duncan এর কথাই ঠিক— ‘হেইট্রেড ইজ অ্যা পলিটিক্যাল ক্যাটেগরি’। ২০১২ সালে নিজা জানে (Niza Yanay) তার The Ideology of Hatred বইতেও ঘৃণা যে রাজনীতির সচেতন সৃষ্টি সেই ধারণাটিই দেন। সমাজতন্ত্রের পতনের পর সমাজতন্ত্রী শত্রু পরাভূত হলে নতুন শত্রুর দরকার হয়। তেলসমৃদ্ধ মুসলিমদের শত্রু বানানো, বিশ্বজোড়া মুসলিমবিদ্বেষ প্রতিষ্ঠা আর্থিকভাবে পশ্চিমের সবচেয়ে লাভজনক প্রকল্প বলে উদ্দেশ্যটি দ্রুতই বিশ্বময় প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায়।
গার্ডিয়ান-এ পঙ্কজ মিশ্র দুর্দান্ত একটি লেখায় একই ইঙ্গিতে লিখেছেন ‘সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদ’ বেচতে জানা রাজনীতির বেনিয়ারা জাতীয়তাবাদী সেজে সজ্ঞানে ‘এইজ অব অ্যাংগার’ বা ‘উত্তেজনার কাল’ টিকিয়ে রাখে। দোষী দেখানোর বেলায় শুধু হিটলারকেই বা দেখানো কেন যখন ট্রাম্প, মে, কিম, পুতিন, নেতানিয়াহু, মোদি, এরদোয়ান গং ছাড়াও আড়ালে-আবডালে অনেকেই যার যার মত করে ‘অথেন্টিক’ বা ‘বিশুদ্ধ সংস্কৃতি’র রাজনীতি বেচেন। একদল ‘সংস্কৃতির শত্রু’ জাতির জন্য ক্ষতিকর অভিযোগ তুলে তাদের ‘অন্য’ বা ‘শত্রু’ ক্যাটেগরিতে ফেলেন। ৯৯.৯৯ ভাগ মুসলিম-অসমর্থিত আইসিস দায়েশও এই ঘৃণার প্রকল্প অনুকরণ করেই দুনিয়াজোড়া অশান্তি ঢেলে চলেছে মুসলিম-অমুসলিম সবার জীবনে। শিয়া-কাদিয়ানি-ইয়াজিদি বিরোধীতা সবই সুন্নির মনোজগতে সেই জগদ্দল পাথর গেঁড়ে দেবার রাজনৈতিক প্রকল্প মাত্র। বাংলাদেশে জারি থাকা স্বাধীনতাপন্থী-স্বাধীনতাবিরোধী বা চেতনাপন্থী-চেতনাবিরোধী ইত্যাদি কৃত্রিম ও মতলবি ন্যারেটিভ-রেটরিকও সজ্ঞান ও ইচ্ছাকৃত বিদ্বেষ প্রকল্পেরই সারাংশ। উদ্দেশ্য স্টিগমার ফাঁদে ফেলে ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’। দুই বিবদমান সদাসর্বদা যুদ্ধমান থাকুক, পরস্পর ঘৃণা-সংঘাতের চাষাবাদ করুক, কখনোই একজোট না হোক; ক্ষমতা বলয়ের প্রতি কখনো কোনোভাবেই হুমকি না হয়ে উঠুক -এ’সবই গুঢ় গভীর উদ্দেশ্য!
‘ক্রনিক্যল’ পত্রিকায় ‘দ্যা সায়েন্স অব হেইট্রেড’ শিরোনামে মনোবৈজ্ঞানিক গবেষণার অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ একটি অসাধারণ লেখা ছাপা হয়েছে। বসনিয় মুসলমানদের নির্বিচার নিধনযজ্ঞ বিষয়ে সার্ব শিশুরা যাতে ভবিষ্যতে কখনো গভীর অনুতাপে ভুগতে শুরু না করে তার জন্য সার্বিয়দের শিশুমানসেই মুসলিম-স্টিগমার জগদ্দল পাথর বসিয়ে দেবার প্রকল্পটি কার্যকর আছে। পাকিস্তানের ইতিহাস বইতে, স্কুল-কলেজের পাঠ্যসূচিতে বাংলাদেশ-স্টিগমার ছড়াছড়ি থাকত এভাবে যে বাংলাদেশিরা ঊন-মুসলিম বা হিন্দুয়ানা মুসলিম বলে একাত্তরে ভারতীয়দের চক্রান্তের ফাঁদে পড়েছে ইত্যাদি।
ফ্রয়েডিয় মনোবিদ্যার ডেথ ইন্সটিঙ্কট বা প্লেজার অ্যান্ড পেইন ইন্টারসেকশন প্রিন্সিপল -‘প্রতিপক্ষকে কষ্টে ফেলতে পারলে, হিংস্রতার শিকার বানাতে পারলেও অনেক সময় পরমানন্দ হয়’ -এই সত্যটির গায়ে ভর দিয়েই স্টিগমা প্রকল্পগুলো তৈরি হয়। নইলে যুদ্ধের মাঠে অ্যাম্বুশে প্রতিপক্ষ সৈন্যের মস্তক উড়ে গিয়ে ছিন্নভিন্ন মগজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েতে দেখলে অ্যাম্বুশকারী সৈন্যরা উল্লাসে ফেটে পড়বে কীভাবে? গুজরাটের দাঙ্গায় সন্তান প্রসবকালে মা হত্যার পর সদ্যভূমিষ্ট জীবিত শিশুকেই বা কীভাবে দুই টুকরা করে ফেলবে?
অতটা হিংস্র হতে না পারাদের সফট স্টিগমাও অবশ্য কম ভয়াবহ নয়!
কয়েকজন উচ্চ শিক্ষিত শ্রীলংকান ও ভারতীয় কলিগের সঙ্গে দিন কয়েক আগে খানিকটা তর্ক হয়েছে। তাঁরা মাত্র বছর কয়েক আগে কানাডায় ইমিগ্র্যান্ট হয়েছেন। হয়তো মরিয়া হয়ে ইমিগ্রেশনের পেছনে ছুটেও ছিলেন! বিস্ময়ের ঘোর নিয়ে শুনলাম তাঁরা কানাডার নমনীয় ইমিগ্রেশনের তীব্র বিরোধিতা করছেন, সিরিয়া হতে রিফিউজি নেবার ক্ষেত্রে ট্রুডো সরকারের পলিসির কারণে আগামীতে ট্রুডোকে আর ভোটই দিবেন না সিদ্ধান্তটি জানালেন।
ভাবেসাবে তাঁরা ‘মোর ক্যাথলিক দ্যান দ্যা পোপ’! কানাডিয়দের চেয়েও বড় কানাডিয় বনে যাওয়া মানুষ!
জিজ্ঞেস করলাম, আচ্ছা শুধু তিন দিনে আমেরিকা হতে মন্ট্রিয়লে আঠারোশ’ অবৈধ অভিবাসী ঢুকেছে। ট্রাম্পের ভয়ে। গত কয়েক মাসে ম্যানিটোবার এমারসন সীমান্ত দিয়ে ঢুকেছে আরো সাড়ে তিন হাজার। এদের ৩০-৩৫ ভাগই ভারতীয় ও শ্রীলংকান। তাদের বিষয়েও নিশ্চয়ই তোমাদের একই মত?
বললাম সিরিয়ার রিফিউজিরা শত ভাগ বৈধ। চোরাপথে ঢুকে পড়া তোমাদের স্বদেশিরা কিন্তু শতভাগ অবৈধ! সিরিয়ার রিফিউজিরা ক্যাম্প হতে শুরু করে জাতিসংঘ, রেডক্রস, এনজিও ইত্যাদিসহ নানা সংস্থার মাধ্যমে দীর্ঘ ক্লান্তিকর আনুষ্ঠানিকতা সেরে; অপরাধ-দুষ্কর্মমুক্ততা, নিরাপত্তা হুমকিমুক্ততা ইত্যাদি কঠিন কঠিন সব পরীক্ষা পাশ করে তবেই এসেছে। তাদের সত্তুর ভাগই শিশু। তোমাদের স্বদেশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বেলায় উল্টো। সীমান্ত গলে ঢুকেছে। নব্বই ভাগই প্রাপ্তবয়স্ক। অপরাধ দুষ্কর্মের কোনো খোঁজ-খতিয়ান নাই। এবার বলো কারা বেশি নিরাপত্তা হুমকি?
স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা ক্যাঁ-কোঁ করে কিছু অর্থহীন দূর্বল কু-যুক্তি দেবার ব্যর্থ চেষ্টা করে রণে ভঙ্গ দিলেন।
মন চাইছিল জিজ্ঞেস করি -আচ্ছা ধরো সিরিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত রিফিউজিরা মুসলিম নয়, খ্রীস্টান; তোমাদের মতামত কি একই হতো? জিজ্ঞেস করিনি কারণ উত্তর আমার জানাই আছে। লুকোছাপার কিছুই নাই যে মুসলিমবিদ্বেষের বর্তমান অবস্থা হিটলারের ইহুদিবিরোধীতার চেয়ে অনেক বেশি বিপজ্জনক অবস্থায় আছে। হিটলারের ইহুদিবিরোধীতা জার্মানি ও ইউরোপের ক্ষুদ্র একাংশে সীমাবদ্ধ ছিল, মুসলিমবিদ্বেষ সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়া শত ভাগ সফল প্রকল্প।
গর্ডন আলপোর্ট তাঁর ‘intergroup contact theory’র বদৌলতে সমাজবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান এবং অপরাধবিজ্ঞান জগতের নমস্য ব্যক্তি। তাঁর তত্ত্বই শান্তি ও দ্বন্দ্ব নিরসন বিদ্যাকে (পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট রেস্যল্ল্যশন স্টাডি) প্রতিষ্ঠা দিয়েছে। এই তত্ত্বের সারকথা বিভিন্ন দল-মত-পথ-ধর্মবিশ্বাসী দলগুলোর মধ্যে ‘‘intergroup contact’ বা ‘দেবে আর নেবে মিলাবে মিলিবে’ যত বেশি হবে দলগুলোর মধ্যে বিদ্বেষ-ঘৃণা এবং বদ্ধমূল পূর্বসংস্কার ততই কমবে। দ্বন্দ্ব সংঘাতেরও ততই নিরসন হবে। এক দলকে আরেক দল হতে যত বেশি দূরে সরিয়ে রাখা যাবে, তত বেশি স্টিগমা বাড়বে, শত্রুতাও পাল্লা দিয়ে বাড়বে। ঘোলা পানির মাছ শিকারীরা ঘোলা পানির সুবিধাটি এভাবেই নেয়।
কানাডায় আলপোর্ট এর আন্তঃদল সংযোগ তত্ত্বের পাঠ যেমন আছে, ব্যবহারও আছে। কানাডায় যেভাবে ‘ইন্টারফেইথ ডায়ালগ’ বা আন্তধর্ম সংলাপ হয় সম্ভবত পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে সে’রকম হয়না। এখানে বিভিন্ন ধর্মচিন্তার মানুষেরা বিভিন্ন সময়ে এক হয়ে ধর্মের মানবিক ও প্রায়োগিক দিকগুলো নিয়ে সংলাপ করেন। ফলাফলও স্পষ্ট। কানাডায় ধর্মবিশ্বাস বিষয়ক বিবাদ-বিসংবাদ নিতান্তই সামান্য, পরধর্মমত-সহিষ্ণুতা, সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধই বেশি। কানাডার কেন্দ্রীয় সরকার এইসব সংলাপকে শুধু উৎসাহিতই করেনা, তাৎক্ষণিক আর্থিক সহায়তাও দেয়। তবুও ভয়ের বিষয় মুসলিমবিদ্বেষ (ইস্লামোফবিয়া) প্রকল্পটি বিশ্বময় এতটাই সফল হয়েছে যে স্টিগমার অনড় পাথর মগজে করে বয়ে নিয়ে আসা অভিবাসীরাই বরং নিজেদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। কেননা তারা সংলাপে কম আগ্রহী, কিন্তু ঘৃণা চর্চ্চায় সকর্মক।
সম্ভবত কানাডায় অভিবাসীদের জন্যই আন্তধর্ম সংলাপ সেবা চালু করার সময় হয়েছে।
আগ্রহী পাঠকদের জন্য নির্বাচিত সহায়তা সূত্রঃ
“In Sri Lanka, Muslims replacing Tamils as perceived enemy” https://www.thestar.com/news/world/2014/01/13/in_sri_lanka_muslims_replacing_tamils_as_perceived_enemy.html
http://www.aljazeera.com/news/2017/05/sri-lanka-buddhist-leader-stokes-anti-muslim-tension-170526211713093.html
https://www.theguardian.com/politics/2016/dec/08/welcome-age-anger-brexit-trump
http://www.chronicle.com/interactives/bosnia
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে)