আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের বিকেলে আগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ঘোষণা করা হয় নতুন নির্বাহী কমিটি।
নতুন কমিটির সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাবিত হয়। এবং সবাই সেটা সমর্থন করেন। অষ্টম বারের মতো শেখ হাসিনা পুন:নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে। কেউ অন্য কোনো নাম প্রস্তাব না করায় শেখ হাসিনা পুন:নির্বাচিত হন।
সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন। তাতে সমর্থন জানান অন্যরা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য নির্বাচিত হন- সৈয়দ আশরাফ, সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, শেখ সেলিম, কাজী জাফর, সাহারা খাতুন, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আব্দুর রাজ্জাক, ফারুক খান, আব্দুল মান্নান খান।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন চারজন- মাহবুব-উল আলম হানিফ, দিপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান।
আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিনে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশনের এজেন্ডায় সবার শেষে ছিল নতুন কমিটি নির্বাচন। সভাপতি পদে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন দলের প্রবীণ প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। সমর্থন করেন আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি পুনর্নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা।
এরপর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন যেদিকে তাকিয়ে ছিল পুরো বাংলাদেশ। তবে, প্রস্তাবক হিসেবে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এগিয়ে এলে বোঝা যায় নতুন সাধারণ সম্পাদক পাচ্ছে আওয়ামী লীগ। তিনি ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করলে তা সমর্থন করেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। এরপর নব নির্বাচিত সভাপতি শেখ হাসিনা সভাপতিম-লীর ১৫ সদস্যের নাম প্রস্তাব করলে তাতে সমর্থন জানায় কাউন্সিল।
পরে ৪ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং কোষাধ্যক্ষের নাম প্রস্তাব করেন শেখ হাসিনা। কাউন্সিল এসব প্রস্তাবেও অনুমোদন জানায়। আওয়ামী লীগ সভাপতি জানান, সভাপতিমণ্ডলী বাকী ২টি নাম এবং সম্পাদকীয় পদের নামগুলো পরে ঘোষণা করা হবে।
সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বপালন এবং দলীয়প্রধানের দায়িত্ব পালন খুবই কঠিন। আমি আশা করবো দলটির সব ধরনের নেতাকর্মীরা আমাকে সাহায্য করবেন, যেন আমরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারি। সাহায্য করবেন যেন আওয়ামী লীগের নাম কখনো প্রশ্নবিদ্ধ না হয়।
সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুমোদন দেয়া হয়। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ১৫ থেকে বেড়ে ১৯ জন করা হয়। কার্যকরি কমিটি ৭৩ থেকে বেড়ে ৮১ জন হয়। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন চারজন। সংসদীয় বোর্ড সদস্য হন ১৮ জন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন সদস্য সংখ্যা হয় ১৯ জন। জেলা কমিটির সব সদস্য কাউন্সিলর হবেন।