গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় রোববার ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।
এছাড়াও একই ঘটনায় বিস্ফোরক মামলায় ৯ জনের ২০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মো. মহিবুল্লাহ, মুন্সী ইব্রাহিম, মাহুমদ আজাহার, রাশেদ ড্রাইভার, শাহ নেওয়াজ, মো. ইউসুফ, মো. লোকমান, শেখ এনামুল ও মো. মিজানুর।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০০ সালের ২০ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশে তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের জন্য মঞ্চ নির্মাণের সময় মাটি নিচেপুঁতে রাখা অবস্থায় ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পাওয়া যায়। পরদিন ৮০ কেজি ওজনের আরেকটি একটি বোমা উদ্ধার করা হয় কোটালীপাড়ার হেলিপ্যাড থেকে।
তার একদিন পরই নিজের নির্বাচনী এলাকায় দাদার নামে প্রতিষ্ঠিত ওই কলেজ মাঠে জনসভায় শেখ হাসিনার ভাষণ দেয়ার কথা ছিল। ওই ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার উপপরিদর্শক নূর হোসেন বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন।
২০০১ সালের ৮ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সি আতিকুর রহমান গোপালগঞ্জের একটি আদালতে মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ২০০৯ সালের ২৯ জুন নতুন করে ৯ জনকে অন্তর্ভুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০১০ সালে মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টাসহ হরকাতুল জিহাদের ১৩টি নাশকতামূলক ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার পেছনে মূল ব্যক্তি হিসেবে মুফতি হান্নানকে দায়ী করা হয়।
এরই মধ্যে সিলেটে সাবেক ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার দায়ে ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এ জন্য তাকে এ মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
বিস্তারতি দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: