এলাম, খেললাম, শিরোপা জিতলাম! মোস্তাফিজুর রহমানের প্রথমবার আইপিএল যাত্রার সংক্ষিপ্ত ধারাবিবরণী এটি। যাতে বল হাতে দুর্দান্ত ভূমিকা রেখেছিলেন ফিজ। কিন্তু দশম আসরে একেবারে উল্টো শুরু হল কাটার মাস্টারের। এবার আইপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচে বল হাতে একেবারে অচেনা থাকলেন মোস্তাফিজ, হারল সানরাইজার্স হায়দরাবাদও।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে হায়দরাবাদকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৮ রান তোলে হায়দরাবাদ। শেখর ধাওয়ানের ৪৩ বলে ৪৮, ডেভিড ওয়ার্নারের ৩৪ বলে ৭ চার ২ ছয়ে ৪৯ এবং বেন কাটিংয়ের ১০ বলে ২০ রানে এই সংগ্রহ আসে। সানরাইজার্সদের ইনিংসে বাকি যে সংগ্রহটি দুই অংকের কোটা পেরিয়েছে, সেটি মি. এক্সট্রা থেকে আসা ১১ রান!
জাসপ্রিত বুমরাহ ৩টি ও হারভজন সিং ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। রান আটকাতেও ইনিংসের সেরা দুজনে। প্রথমজন ৪ ওভারে দিয়েছেন ২৪ রান, পরেরজন ২৩!
জবাব দিতে নেমে পার্থিব প্যাটেল ৩৯, নিতিশ রানা ৪৫ ও ক্রুনাল পান্ডিয়ার ৩টি করে চার-ছয়ে ২০ বলে ৩৭ রানে ৮ বল হাতে রেখেই জয়ে নোঙর ফেলে ইন্ডিয়ান্সরা।
এদিন মোস্তাফিজ আক্রমণে আসেন ষষ্ঠ ওভারে। তাকে ছয় মেরে আমন্ত্রণ জানান নিতিশ রানা। চতুর্থ বলে পার্থিব প্যাটেল চার মারেন। যা এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানকে আইপিএলে দুই হাজার রানের মাইলফলকে বসিয়ে দেয়। পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে আরো দুটি চার মেরে মোস্তাফিজের আইপিএল শুরুটা ভুলে যেতে চাওয়ার মত পরিস্থিতিতে টেনে আনেন প্যাটেল। ওই ওভারে ফিজের থেকে ১৯ রান আদায় করে নেন মুম্বাই ব্যাটসম্যানরা। দ্বিতীয় বলটি ডট ও তৃতীয়টি থেকে এসেছিল ১ রান।
এরপর বিরতি দিয়ে ১৩তম ওভাবে মোস্তাফিজের হাতে আবারো বল তুলে দেন ওয়ার্নার। প্রথম তিন বলে দুটি এক ও একটি ডট দিয়ে ভালোই করছিলেন। কিন্তু চতুর্থ বলে পোলার্ড ছয় মেরে আবারো ভালোটা ভেস্তে দেন। পরের বলে এক, তারপর ওয়াইড, শেষ বলে এক দিয়ে ১১ রান খরচায় নিজের দ্বিতীয় ওভার শেষ করেন ফিজ।
শেষে আবারো যখন বল পেলেন, ১৯তম ওভার। প্রতিপক্ষের জিততে লাগে মাত্র ৪ রান। সেটা মোস্তাফিজের চার বলেই তুলে নিয়েছে মুম্বাই। দিন শেষে তাই ফিজের বোলিং ফিগার: ২.৪-০-৩৪-০! যাতে ২টি ছয়, ৩টি চার মেরেছেন জয়ী দলের ব্যাটসম্যানরা।