কুড়িগ্রামের উলিপুরে ৭ বছরের শিশু আরজিনা অপহরণের ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীসহ ৩ জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। শিশু আরজিনার পরিবারের অভিযোগ, কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্যই আরজিনাকে অপহরণ করা হয়েছিল।
এর আগে অপহরণের ১২ দিন পর আরজিনাকে গাইবান্ধার এক পুলিশ কর্মকর্তার রংপুরের ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের হাজিপাড়া গ্রামের দরিদ্র আক্কাছ আলী ও মরিয়ম বেগমের কন্যা আরজিনা। বাবা মা ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করায় শিশু আরজিনাকে কুড়িগ্রামের উলিপুরে রূপার খামার গ্রামে নানা মমিজ উদ্দিনের বাড়ীতে রাখেন। গত ৬ আগস্ট সন্ধ্যায় নানা বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয় শিশু আরজিনাকে।
তখন অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও সন্ধান মেলেনি আরজিনার। পরে ১৮ আগষ্ট সন্ধায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের তথ্যের ভিত্তিতে রংপুর শহরের মুন্সীপাড়ায় পুলিশের এসআই আবুবক্কর এর ভাড়া বাসা থেকে আরজিনাকে উদ্ধার করা হয়। অপহরণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন আরজিনার পরিবারের সদস্যরা।
তবে শিশু আরজিনা অপহরণের ঘটনার বিষয় নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি উলিপুর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। কিন্তু অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা সামনে এনে অপহরনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: