চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

‘শাবনূরকে আমি কিংবদন্তি বা এরকম কিছু বলতে চাই না’

‘শাবনূর আসলে আমার খুব ভালো বন্ধু। পারিবারিক বন্ধু। আমার ওয়াইফের সাথে তার খুব বন্ধুত্ব। আর শিল্পী হিসেবেতো শাবনূর অসাধারণ। তার অভিনয়ের গুণতো দেশের মানুষই জানেন।’-ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূরকে নিয়ে এভাবেই চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে কথা বললেন তার খুব কাছের বন্ধু ও চলচ্চিত্রাভিনেতা অমিত হাসান।

১৭ ডিসেম্বর শাবনূরের জন্মদিন। বেশ কয়েক বছর টানা দেশের বাইরে থাকায় চলচ্চিত্রের সাথে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই তার। তবে কখনোই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি কাছের বন্ধু অমিত হাসানের সঙ্গে। দেশে এসেই তাই সবার আগে অমিতের বাসায়ই ছুটে গেছেন শাবনূর। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে আসার পরও শাবনূরকে দেখা যায় অমিত হাসান ও ওমর সানির সঙ্গে। তাই কাছের বন্ধুর জন্মদিনটা নিশ্চয় এবার জমকালোভাবে পালন করছেন?

এমন প্রশ্নে, ফোনের ওপার প্রান্ত থেকে যেনো কিছুটা বিমর্ষ ভঙ্গিতে অমিত হাসান বললেন, শাবনূরের জন্মদিনে স্পেশাল কোনে আয়োজন বা প্ল্যান নেই। ওর মা বাংলাদেশের বাইরে। তারউপর সে নিজে খুব অসুস্থ। ঘরোয়াভাবে তারপরও তার কাছের বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে জন্মদিন পালন করবে সে। আমি স্ত্রী সন্তান নিয়ে যাবো আজকে সন্ধ্যায়। আমরা সঙ্গে একটা কেক নিয়ে যাবো। যদিও শুনেছি, চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ঠ অনেকেই শনিবার রাতেই শাবনূরের বাসায় কেক নিয়ে হাজির হয়েছিলেন।

ওমর সানি, শাবনূর ও অমিত হাসানের বন্ধুন্ত..আমরা আসলে খুব ভালো বন্ধু। প্ল্যান করে কিছু করি না। এই যেমন মাঝখানে মৌসুমীর জন্মদিনে আমরা হুট করে তার বাসায় যেয়ে সবাই হাজির হয়েছিলাম। সারাক্ষণ আনন্দে মেতেছিলাম। সবার পরিবারে সাথে সবার খুব সুসম্পর্ক। আর শাবনূর খুব আড্ডাপ্রিয় একজন মানুষ।

শাবনূরকে আমি কিংবদন্তি বা এসব কিছু বলতে চাই না, আমি একটা কথাই বলবো। আমরা ফিল্মে প্রবেশ করার পর পেয়েছিলাম দিতি, চম্পার মতো নায়িকাকে। তার আগে ছিলেন কবরী, ববিতা বা শাবানা আপারা। তাদের পরে কিন্তু শাবনূর, মৌসুমী, পূর্ণিমারা অসাধারণ অভিনয় করে গেছেন। পূর্ববর্তীতের দায়িত্ব খুব সুসম্পন্নভাবে করে গেছেন শাবনূররা। অভিনয়ে কারো কোনো খুঁত ছিলো না, দুর্বলতা ছিলো না। তারা কাজ দিয়ে দর্শকের কাছেও একটা তুমুল গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করেছিলেন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে শাবনূর, মৌসুমী, পপি বা পূর্ণিমার পরে এখন কিন্তু আর এমন নায়িকার জন্ম হচ্ছে না। এখন শাবনূর বা তারা কিংবদন্তি কিনা আমি সেটা বলতে চাই না, বরং তারা বাংলা চলচ্চিত্রের সার্থক অভিনেত্রী ছিলেন।-বন্ধু ও সহকর্মী শাবনূরকে নিয়ে বলছিলেন অমিত হাসান।

প্রখ্যাত নির্মাতা এহতেশাম পরিচালিত ‘সৈনিক’ ছবির মধ্য দিয়ে জুটি গড়েন অমিত-শাবনূর। এরপর জুটি বেধে একে একে তারা অভিনয় করেন আত্মসাৎ, পাগলীর প্রেম, তুমি শুধু তুমি, বিদ্রোহী প্রেমিক, উজান ভাটি, ওয়াকিল আহমেদের ভুলো না আমায় এবং শাহ আলম কিরণের শেষ ঠিকানা।

ছবি: ইন্টারনেট