শাকিব খানকে দেখতে হাসপাতাল যাচ্ছেন তার স্ত্রী অপু বিশ্বাস। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি মুঠোফোনে বলেন, ‘শাকিব পেটে তীব্র ব্যথা অনুভব করছে। তার তো আগে থেকে লিভারের সমস্যা ছিল। সিঙ্গাপুর থেকে ডাক্তার বারবার তাকে অনিয়ম করতে নিষেধ করেছেন। কিছু খাওয়ার ব্যাপারে নিষেধ করেছেন। কিন্তু শাকিব তা একেবারেই মানছে না। গত ১০ মাস আমি ওর থেকে একদম দূরে ছিলাম। সবকিছু মিলিয়ে ওর খুব অনিয়ম হয়েছে। আশা করছি, সামনে সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’
আগেই জানানো হয়েছে গতকাল বুধবার রাতে অপু বিশ্বাসের বাসায় যান শাকিব খান। সেখানে তিনি স্ত্রী ও ছেলে আব্রাহাম খান জয়ের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে তিনটার সময় অপু জানান, তিনি তখনই বাসায় এসেছেন। বললেন, ‘শাকিব কাল খুব খুশি ছিল। আব্রাহামকে নিয়ে বাসায় অনেকটা সময় কাটিয়েছে। ছেলের জন্য নতুন কিছু কাপড় তৈরি করতে বলেছে। এই কাপড় আনার জন্যই বের হয়েছিলাম। আব্রাহাম ঘুমাচ্ছে, ওকে গুছিয়ে দিয়েই আমি হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বের হচ্ছি।’
গত মঙ্গলবার শাকিব খানের বন্ধু, চলচ্চিত্র প্রযোজক ইকবাল হোসেন জয়ের কাছ থেকে জানা গেছে, আগামীকাল শুক্রবার দুপুরে শাকিব খান তার স্ত্রী অপু বিশ্বাস আর ছেলে আব্রাহাম খান জয়কে নিজের বাসায় নিয়ে যাবেন।
এ ব্যাপারে অপু বলেন, ‘আমি তো সব সময়ই ওর বাসায় যাই। কিন্তু এবারের যাওয়াটা একটু আলাদা হবে। যেহেতু পুরো ব্যাপারটা জানাজানি হয়েছে, তাই এখন একটু ঘটা করে যাওয়ার ব্যাপার আছে। আর এখন তো শাকিব অসুস্থ, হাসপাতালে যাচ্ছি, গিয়ে দেখি, ডাক্তার আর ওর সঙ্গে কথা বলি।’
শেষে বললেন, ‘সবাইকে বলবেন আমাদের জন্য দোয়া করতে।’
গত সোমবার বিকালে নিউজ টোয়েন্টিফোরের লাইভ অনুষ্ঠানে অপু বিশ্বাস ছেলে আব্রাহাম খান জয়কে নিয়ে হাজির হন। এই অনুষ্ঠানে অপু বিশ্বাস বলেন, শাকিবকে বিয়ে করে নিজের নাম পাল্টে রাখেন অপু ইসলাম খান। ২০০৮ সালে ১৮ এপ্রিল তাঁদের বিয়ে হয়। শাকিবের ঢাকার বাসায় এ বিয়ে হয়। দুই পরিবারের কাছের লোকজন এই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। শাকিবের ভালো ও তার কেরিয়ারের কথা বিবেচনা করে এত দিন বিষয়টি গোপন রেখেছেন অপু। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতার এই ক্লিনিকে তাদের সন্তানের জন্ম হয়। শাকিব খান আর অপু বিশ্বাসের ছেলে আব্রাহাম খান জয়ের বয়স এখন ছয় মাস। এরপর গত মঙ্গলবার রাতে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভিতে ‘আজকের বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দেন শাকিব খান। জানা গেছে, এখন তাদের সম্পর্ক অনেকটাই স্বাভাবিক।