ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে আইকন ক্রিকেটার হিসেবে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে পেয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব, সাকিব আল হাসানকে পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও মুশফিকুর রহিমকে পেয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে লটারির মাধ্যমে তাদের দল নিশ্চিত হয়।
শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব এবার প্রথম বিভাগ ক্রিকেট থেকে প্রিমিয়ার লিগে উঠে এসেছে। লটারিতে তারাই প্রথম মাশরাফীকে পায়। এক মৌসুম পর আবার দলবদল হচ্ছে প্লেয়ার বাই চয়েজ পদ্ধতিতে।
তিন আইকন ক্রিকেটার লটারির প্রথম দফায় দল পেলেও দ্বিতীয় দফার দল নিশ্চিত হয় তামিম ইকবালের। তিনি খেলবেন কলাবাগান কেসিতে।
আইকনদের বাকিরা: নাসির হোসেন (আবাহনী), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও রুবেল হোসেন (প্রাইম ব্যাংক), ইমরুল কায়েস (গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স), মোস্তাফিজুর রহমান ও লিটন দাস (প্রাইম দোলেশ্বর), এনামুল হক বিজয় (খেলাঘর)।
এবারের আসরে আইকনদের সংখ্যা বেড়েছে। অংশ নেয়া ১২টি ক্লাবের জন্য ১২জন আইকন ক্রিকেটার রাখার সিদ্ধান্ত নেয় লিগের আয়োজক ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)।
তাদের খসড়া তালিকা অনুযায়ী এবারের আইকন- মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ইমরুল কায়েস, মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসির হোসেন, লিটন কুমার দাস, এনামুল হক বিজয় ও রুবেল হোসেন।
যদিও আইকনদের সবার পারিশ্রমিক সমান নয়। জাতীয় দলের পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটার মাশরাফী, মুশফিক, সাকিব, তামিম ও মাহমুদউল্লাহ পাবেন ৩৫ লাখ ঢাকা করে। বাকি সাত আইকন পাবেন ২৫ লাখ টাকা করে।
সবশেষ ২০১৬ সালের দলবদল হয়েছিল প্লেয়ার বাই চয়েজ পদ্ধতিতে। সেবার দুজন করে ক্রিকেটার ধরে রাখার নিয়ম ছিল। পারিশ্রমিক কিছুটা বেড়েছে। শীর্ষ আইকনরা সেসময় পেয়েছেন ৩০ লাখ টাকা। এবার তারা পাবেন ৩৫ লাখ।
আগেরবার সাব্বির রহমান ছিলেন আইকন। এবার প্লেয়ার্স ড্রাফটের তালিকায় নেই তার নাম। জাতীয় লিগের শেষ রাউন্ডে দর্শক পেটানোর জেরে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে ৬ মাস নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি।