চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

শরণার্থীদের দুর্দশা ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে

গত কয়েক বছর ধরেই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এন্টারটেইনমেন্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। যখন প্রযুক্তি দুনিয়ায় ভার্চুয়াল রিয়েলিটি আলোড়ন তুলল, তখনই দুটি প্রশ্ন উঠলো- এই প্রযুক্তি কি চলচ্চিত্রে বড় কোনো পরিবর্তন আনবে? আর সেই পরিবর্তন কী হবে? প্রশ্নের উত্তর মিলেছে ৭০তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে। এই প্রথম উৎসব কর্তৃপক্ষ তাদের অফিশিয়াল সিলেকশনে একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) প্রজেক্ট রেখেছে। অস্কারজয়ী নির্মাতা আলেহান্দ্রো গনজালেস ইনাররিতু তৈরি করেছেন ছবিটি। সাড়ে ছয় মিনিটের এই ভিআর প্রজেক্টে শরণার্থী সমস্যা ফুটিয়ে তুলেছেন নির্মাতা।

পাশ্চাত্যে এখন শরণার্থী সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। কিন্তু এ সমস্যা সৃষ্টির পেছনে তাদের নিজেদেরই কিছু দায় আছে। দর্শকদের শরণার্থীদের সমস্যাগুলো অনুভব করিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যেই এই ছবি নির্মাণ করেছেন তিনি। প্রজেক্টের নাম ‘কারনে ই আরেনা।’ হলিউডের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান লিজেন্ডারি এন্টারটেইনমেন্ট অর্থায়ন করেছে প্রজেক্টটিতে।

ছবিতে লাতিন আমেরিকান শরণার্থীদের দেখানো হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকোর যেই সীমান্তে দেয়াল তোলার কথা বলেছেন, শরণার্থীরা সেই সীমান্ত দিয়ে আরিজোনা মরুভূমি হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার চেষ্টা করছে।

আলেহান্দ্রো গনজালেস ইনাররিতু

ছবির দৃশ্য ধারণের জন্য ইনাররিতু ও লুবেস্কি মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে গিয়েছিলেন। সীমান্ত দিয়ে আসতে থাকা শরণার্থীদের স্রোতকে ভিআর প্রযুক্তিতে ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা কোণে ধারণ করেছেন তারা। ফলে মরুভূমির ধু ধু প্রান্তর, দুর্গমতা, নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি এবং শরণার্থীদের দুর্বিষহ জীবন দর্শকরা অনুভব করতে পারবেন। দর্শকদের মনে হবে তারা নিজেরাই যেন সেখানে উপস্থিত আছেন।

একটি সাক্ষাৎকারে ইনাররিতু বলেন, রাজনীতি কিংবা বক্তৃতা নয় বরং ভিন্ন কিছু করতে চেয়েছেন তিনি। শরণার্থীদের সমস্যা অনুভব না করা পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। সমস্যার সমাধান করতে হলে প্রথমে বুঝতে হবে শরণার্থীরা কেন নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভয়ংকর এই পথ বেছে নিচ্ছেন। লস-অ্যাঞ্জেলেস টাইমস।