ঢাকা মহানগরীতে শব্দ দূষণ বিশেষ করে যানবাহনের বিকট হর্ন মানুষকে বিপর্যস্ত করে তুলছে। এই নীরব ঘাতক শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তবে সচেতনতা বাড়ানো এবং কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া না হলে এই দূষণ কমানো সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শব্দ যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হলেও উচ্চমাত্রার সেই শব্দই বিরক্তি ও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরগুলোতে শব্দের মাত্রা ভয়াবহ দূষণের পর্যায়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষিত মানুষের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর মাত্রা ৮০ ডেসিবলের অনেক ওপরে ঢাকা শহরের শব্দের মাত্রা।
শহরে শব্দ দূষণের প্রধান মাধ্যম যানবাহনের হর্ন। আগে যাওয়ার প্রচেষ্টায় অকারণে হর্ন বাজাতে থাকেন চালকরা। শহরের রাস্তায় নামলেই অনবরত হর্নের শব্দে কান ঝালাপালা হচ্ছে নাগরিকদের। কমে যাচ্ছে শ্রবণ ক্ষমতা। কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও শিকার হচ্ছেন এই নীরব ঘাতকের।
মারাত্মক ক্ষতিকর হাইড্রলিক হর্ন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ। গত এক বছরে ঢাকায় ১০ হাজার হর্ন জব্দ ও কয়েক হাজার মামলা দিয়েছে তারা। এই দূষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দিচ্ছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ফরিদ আহমেদ।
অন্যদিকে ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুস্থ রাখতে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছেন পরিবেশবিদরা।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: