চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

শতকোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা

প্রায় ১০০ কোটি টাকা অর্থ পাচারের অভিযোগে পোশাক তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান এসএন
ডিজাইন লি: এর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মতিঝিল থানায় মামলা
করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ধারা ২(শ) (১৮)
অনুযায়ী শুল্ক গোয়েন্দার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার
মামলাটি করেন। এতে মূল আসামী করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো: শহিদুল ইসলামকে।

শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ জানায়, দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও অর্থমন্ত্রীর অনুমোদনের পর এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। এটি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ সংশোধনী আইন ২০১৫ পাশের পর প্রথম কোনো ফৌজদারি মামলা।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই প্রতিষ্ঠানটি ২০১০-২০১৫ মেয়াদে পাঁচ বছরে ২৯৭টি চালান বিদেশে রপ্তানি করলেও রপ্তানির বিপরীতে কোন বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনেনি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দা ডিসেম্বর ২০১৫ এ চট্টগ্রাম বন্দরে ৭টি চালানের কন্টেইনার রপ্তানির প্রাক্কালে আটক করে।

এরপর কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখা যায় ব্যাংকের ইএক্সপি ফর্ম ও এলসি জাল করে এসব কন্টেইনার রপ্তানি করার চেষ্টা হয়েছে। কাস্টমসের এসাইকুডা সিস্টেম থেকে গত পাঁচ বছরের হিসেব নিয়ে দেখা যায়; এর আগেও ২৯০টি চালানের কন্টেইনার তারা রপ্তানি করেছে ব্যাংকের কাগজ জাল করে।

সোনালী ব্যাংক লি: মতিঝিল শাখা, ব্র্যাক ব্যাংক গুলশান শাখা এবং ন্যাশনাল ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার গ্রাহক দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এই জালিয়াতি করে। রপ্তানির শর্ত অনুযায়ী এসব রপ্তানির বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার কথা থাকলেও তা হয়নি।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, এই মুদ্রা বিদেশে অন্য কোন অ্যাকাউন্টে অবৈধভাবে ট্রান্সফার করা হয়েছে। এসব কন্টেইনারে নানা ধরনের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে কিন্ত পেমেন্ট বিদেশে থেকে গেছে। রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে রয়েছে ফিলিপিন্স ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ সংশোধনী আইন ২০১৫ অনুযায়ী শুল্ক গোয়েন্দাকে তদন্ত করার ক্ষমতা প্রদান করা হয়। আদালতে প্রমাণিত হলে সর্বনিম্ন ৪ বছর ও সর্বোচ্চ ১২ বছর কারাদণ্ড  হতে পারে। একইসাথে অর্থদণ্ডের বিধান আছে।

মামলায় প্রধান আসামী শহিদুল ইসলামের ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে বাড়ি ৩৪, রোড ১, সেক্টর ১২, উত্তরা, ঢাকা। প্রতিষ্ঠানটি ৩৮ সেনপারা, পর্বতা, মিরপুর ঢাকায় অবস্থিত হলেও বর্তমানে এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।