যদিও তিনি এই বিষয়ে ভাবতে পছন্দ করবেন না, তবে কোচ ডিয়েগো সিমিওনে জানেন তার ফরোয়ার্ড অ্যান্থনিও গ্রিজম্যান অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে নেট খুঁজে না পেলে তার সতীর্থরাও সেটা পায় না।
সাম্প্রতিক একটি প্রেস কনফারেন্সে এই প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়ার পর সহ্য করার মতো মেজাজ ছিল না সিমিওনের। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, স্ট্রাইকারদের এত কম গোল করা নিয়ে কি তিনি চিন্তিত? ডিয়েগো কস্তা (এখন চেলসিতে) বা রাদামেল ফ্যালকাওয়ের (মোনাকো) অভাব কি অনুভব করছেন?
এক শব্দে ‘নো’ উত্তর দিয়ে দ্রুত প্রশ্নের এই ফোকাস লাইন থেকে বেরিয়ে যান অ্যাটলেটিকো বস।
কোচ পরিষ্কারভাবে তার দলকে রক্ষা করতে চেয়েছিলেন, তবে তারা সত্যিই যে গ্রিজম্যানের সাফল্যের ওপর নির্ভর করে চলছে সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। দলকে একাই টানছেন লিটল প্রিন্স খ্যাতি পাওয়া গ্রিজম্যান। কিন্তু এতো করেও একাকীত্ব অনুভব করছেন তিনি।
চলতি মৌসুমে লা লিগায় ১৬, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পাঁচ এবং কোপা ডেল রে’তে চার গোল করেছেন গ্রিজম্যান। সব প্রতিযোগিতাতেই অ্যাটলেটিকোর হয়ে সর্বোচ্চ গোল স্কোরার ফরাসি তারকা।
লা লিগায় পিছিয়ে থাকলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো আসরে সেমিফাইনালে উঠে গেছে অ্যাটলেটিকো। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জার্মান ক্লাব বেয়ার লেভারকুসেন ও লেস্টারের বিপক্ষে গোলসহ ২০১৭ সালেই ১৬ গোল করেন গ্রিজম্যান। কিন্তু সমস্যা হল গ্রিজম্যান তো একা! অন্তত এই কারণে উদ্বিগ্ন স্ট্রাইকাররা।
লাস পালমাসের বিপক্ষে রোববার অ্যাটলেটিকো যখন মাঠে নামবে তখন স্ট্রাইকার কেভিন গ্যামিরিও ৫৫ দিন গোলহীন। আরেক স্ট্রাইকার ফার্নান্দো তোরেসের গোল জালের সঙ্গে দেখা পায়নি ৭৬ দিন। এছাড়া অ্যাঞ্জেল কোরেয়ার গোল খরা ১৯৬ দিনের। ২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবরের পর কোন গোল করতে পারেননি এই আর্জেন্টাইন।
এই অবস্থায় গত তিনটি ম্যাচে খেলে মাত্র দুটি গোল করেছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে লেস্টারের বিপক্ষেই গ্রিজম্যান করেছিলেন গোল দুটি।
লা লিগার সবশেষ দুটি ম্যাচেও দুই গোল করে দলকে রক্ষা করেন ফরাসি তারকা। যার মধ্যে একটি গোল আবার নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়ালের বিপক্ষে বার্নাব্যুতে।
অ্যাটলেটিকো গত গ্রীষ্মে গ্যামিরিওর জন্য ৩০ মিলিয়নেরও বেশি ইউরো ব্যয় করেছে। কিন্তু সত্য যে সব প্রতিযোগিতায় তার ১৪টি গোল এই পরিমাণ অর্থ খরচকে সমর্থন করে না।
এই মৌসুমে তোরেস সাত এবং কোরেয়া তিনটি করেছেন। পরের ম্যাচগুলেতে স্কোয়াডে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত কিনা সেটাই অজানা। এই অবস্থায় অ্যাটলেটিকার ওপর দেয়া ফিফার নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে ওঠানো হলে আগামী গ্রীষ্মে দলকে শক্তিশালী করতে সুযোগ পাবে রোজিব্লাঙ্কাসরা।