লাকী আখান্দের কুলখানিতে সংগীত অঙ্গনের বিশিষ্টজনদের অনুপস্থিতিতে দু:খ ও ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান ইমাম।
মাত্র তিনদিন আগে না ফেরার দেশে চলে গেছেন কিংবদন্তি সুরকার, সংগীত পরিচালক, সংগীতশিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখান্দ। সোমবার ছিল তার কুলখানি।
বাদ আসর লাকী অাখান্দের আরমানিটোলার বাড়ির পাশের সমাজসেবা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় মিলাদ মাহফিল। সেখানে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
কিন্তু যে সংগীতের জন্য সারাজীবন সাধনা করে গেছেন লাকী আখান্দ; তার কুলখানিতে অনুপস্থিত ছিলেন সেই সংগীত জগতের বহু পরিচিত মুখ। এজন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমামসহ অনেকেই।
অনেকটা ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘এত এত কালজয়ী গানের স্রষ্টা লাকী আখান্দের কুলখানিতে সংগীত জগতের মানুষের অনুপস্থিতি আমাকে ব্যথিত করেছে।’
লাকী অাখান্দের কুলখানিতে পরিচিতদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংগীত পরিচালক শেখ সাদি খান, বাবু, হাবলু, বাপ্পা মজুমদার, মিনার রহমান, অভিনয়শিল্পী শারমিন লাকি, গীতিকার শাহান কবন্ধ প্রমুখ।
সংগীতের মানুষদের এমন হাতে গোনা উপস্থিতির কারণে মিলাদে আসা এলাকাবাসীর চোখে ছিল জিজ্ঞাসা। এজন্য নানা রকম মন্তব্যও করেন কেউ কেউ।
গত শুক্রবার ৬১ বছর বয়সে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান লাকী আখান্দ। ২০১৫ সালে তার ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়েছিল। ব্যাংককে ছয় মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশে ফিরে ভর্তি হন বিএসএমএমইউতে। মৃত্যুর কয়েকদিন অাগে হাসপাতাল থেকে আরমানিটোলার বাসায় ফিরে গিয়েছিলেন লাকী আখান্দ।