চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

লাইলাতুল কদর: ক্ষমা আর রহমত অর্জন হোক সবার

যে রাতকে আমরা শবে কদর বলে জানি, পবিত্র কোরআনের ভাষায় তা লাইলাতুল কদর। মুসলমানদের জন্য এটি একটি অতুলনীয় রাত। রমজান মাস পবিত্র কোরআন নাজিলের মাস। আর শবে কদর কোরআন নাজিলের রাত। এ রাতেই হেরা পর্বতের গুহায় মহান আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে হজরত জিবরাইল (আ.) এর মাধ্যমে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর প্রতি আল কোরআন অবতীর্ণ হয়। এই রাতের রয়েছে নানা মহিমাগাথা। রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে শবে কদরকে সন্ধান করা হয়। তবে প্রচলিত ধারামতে ২৭ তারিখের রাতকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। এই রাতের গুরুত্ব সম্পর্কে হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, হে রাসুল! আমি যদি লাইলাতুল কদর সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে আমি ওই রাতে আল্লাহর কাছে কী দোয়া করব? রাসুলুল্লাহ (সা.) জবাবে বলেন: তুমি বলবে, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন, তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নি।’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে পছন্দ করেন; দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন।’ (ইবনে মাজা, সহিহ-আলবানি)। বিভিন্ন হাদিস মোতাবেক, এই পবিত্র রাত্রিতে সারারাত জেগে নামাজ, দোয়া আর দানের মাধ্যমে গুনাহ মাফ ও আল্লাহর রহমত প্রার্থনা করার সুযোগ রয়েছে। রমজানের রোজার শেষের দিকে এই রাতকে ঘিরে নানা ধর্মীয় ভাবগম্ভীর আয়োজন থাকে। দেশের প্রতিটি মসজিদসহ ঘরে ঘরে এই রাত বিশেষ ব্যবস্থায় পালিত হয়ে আসছে। এই আনন্দময় ও পবিত্র রাতের পরই ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাবে পবিত্র রমজান মাস। এই রাতে দেশের প্রতিটি মানুষ তাদের নিজেদের জন্যসহ দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করবেন বলে আমাদের বিশ্বাস। রমজানের যে শিক্ষা একমাস ধরে সবাই অর্জন করলেন, তা সারাবছর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমাদের ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে প্রতিফলিত হোক এই আমাদের প্রত্যাশা।