লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে পারিবারিক কলহের জের ধরে এইচএসসি পরীক্ষার্থী গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার। নিহত গৃহবধূর নাম আসমা উল হোসনা (২০)।
রোববার সকালে গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে দুপুরে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন হাজিরপাড়া ইউপির পূর্ব আলাদাদপুর গ্রামে নিহতের স্বামীর বাড়ি পলোয়ান বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ আসমা উল হোসনা বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্যাহপুর ইউপির গৌবিন্দের গ্রামের প্রবাসী হোসেন আহম্মদের কন্যা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল পূর্ব আলাদাদপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে বেল্লাল হোসেন লিটনের সঙ্গে বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্যাহপুর ইউপির গৌবিন্দের গ্রামের সৌদি প্রবাসী হোসেন আহম্মদের মেয়ে কলেজছাত্রী আসমা উল হোসনার বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে স্বামী লিটনের সঙ্গে আসমার বনিবনা হচ্ছিলনা। নিহতের মা সেলিনা আক্তার জানান, শনিবার এইচএসসি বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষা দিয়ে দুপুরে স্বামীর বাড়িতে ফিরে যায় আসমা। সন্ধ্যায় আসমা তাকে (মাকে) ফোন করে বলে, ‘আমাকে কেন এখানে বিয়ে দিয়েছেন। আমি এখানে অশান্তিতে আছি। আমি বাঁচবো না। আমাকে জল্লাদের কাছে কেন বিয়ে দিয়েছেন?’ এসব বলে কাঁদতে থাকেন নিহতের মা সেলিনা আক্তার।
তিনি অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে স্বামী লিটন, দেবর আব্দুল্যাহসহ শ্বশুর শাশুড়ি মিলে হত্যা করেছে।
নিহতের চাচা মো. সহিদ একই অভিযোগ করে বলেন, তার ভাতিজীকে হত্যা করে লাশ বসতঘরের ভিতর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
সকালে খবর পেয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে দুপুরে মর্গে পাঠায়।
চন্দ্রগঞ্জ থানার এসআই মেলকাম ডি সিলভা বলেন, ময়নাতদন্ত ছাড়া কিছুই বলা যাচ্ছেনা। রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।