চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করে বলেছেন, ঘর বাড়ি ফেলে বাংলাদেশে আসা এবং মিয়ানমারে থাকা (দু দেশের রোহিঙ্গাদের) রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ আর মানবিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হবে। তিনি এসব অসহায় গৃহহারা মানুষদের আশ্রয় দেয়ায় ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশকে।

রোববার দুপুরে উখিয়ার ফালংখালী ইউনিয়নের জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিটের সময় ইন্দোনেশিয়ার একটি উড়ো জাহাজে করে তিনি ঢাকা থেকে কক্সবাজার বিমান বন্দরে অবতরণ করেন। এসময় প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান। বিমান বন্দর  থেকে চলে যান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে।

মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সেবা দানকারী  ইন্দোনেশিয়ার পরিচালিত ড্রিন সা হাসপাতালে যান তিনি। সেখানে চিকিৎসাধীন ৩০ জন রোহিঙ্গা নারী পুরুষের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। ১শ’ জন নারী শিশুর মাঝে বিতরণ করেন শিশু খাদ্য। এর পর ১০ জন রোহিঙ্গা নারী পুরুষের সঙ্গে কথা বলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তিনি তাদের কাছে মিয়ানমারে সংঘঠিত সহিংসতার কথা জানতে চান। রোহিঙ্গারা তাদের উপর চলা মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দেন। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট রোহিঙ্গাদের মুখে নির্যাতনের কথা শুনে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন।

এর পর তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন,বাংলাদেশে ও মিয়ানমার দু দেশে থাকা রোহিঙ্গাদের জন্য ইন্দোনেশিয়ান মানবিক সাহায্য অব্যাহত থাকবে। এসব নির্যাতিতদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশ কে ধন্যবাদ জানান।

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন ফার্স্ট লেডি ইরিয়ান জোকো উইডোডোসহ সে দেশের একাধিক মন্ত্রী।

সফরকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ মাহমুদ আলী, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশন, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম‘র প্রতিনিধি,কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলী হোসেন,জেলা পুলিশ সুপার ড. একে এম ইকবাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বিকেল ৪ টা ২৮ মিনিটের সময় তিনি ঢাকার উদ্যোশে কক্সবাজার ত্যাগ করেন। গত বছরের ২৫ আগস্টের পর থেকে এ দেশে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর তাদের দেখতে এ প্রথম বারের মতো বাইরের দেশের কোন রাষ্ট্রপতি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসলেন।