চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

রোহিঙ্গা নির্মূল-নির্যাতন অস্বীকার করলেন সু চি

বিপুল পরিমাণে তথ্য-প্রতিবেদন থাকার পরও মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর হত্যা-নির্যাতন চালানোর কথা অস্বীকার করেছেন দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেতা অং সান সু চি।

বিবিসি’কে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি বলেন, মিয়ানমারের অধিকাংশ রোহিঙ্গার আবাসস্থল রাখাইন রাজ্যে সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু সমস্যাটির প্রেক্ষিতে জাতিগত নির্মূল চালানো হচ্ছে – এই কথাটি ‘খুব বেশি কড়া’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মিয়ানমারের এই বর্তমান নেতা বরং বলেন, দেশ পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা ফিরে এলে তাদের তার সরকার দু’হাত খুলে স্বাগত জানাবে।

সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে বিবিসির বিশেষ সংবাদদাতা ফারগাল কিনের এক প্রশ্নের জবাবে অং সান সু চি বলেন, ‘আমার মনে হয় না (রাখাইনে) কোনো ধরণের জাতিগত নির্মূল প্রক্রিয়া চলছে। আমি মনে করি, বাস্তবে সেখানে যা ঘটছে, জাতিগত নির্মূল কথাটি তার জন্য খুব বেশিই শক্ত।’

সু চি বলেন, ‘আমার মনে হয় সেখানে অনেক বেশি প্রতিকূল অবস্থা বিরাজ করছে। মুসলিমরাও সেখানে মুসলিম হত্যা করছে, যারা কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করছে বলে ভাবছে। আপনি (ফারগাল কিন) যেভাবে বলছেন, ব্যাপারটা আসলে শুধু সে রকম জাতিগত নির্মূলের বিষয় নয়। এটা একটি

বাংলাদেশে এক শরণার্থী শিবিরে কাঁদছে এক রোহিঙ্গা শিশু

ভাঙ্গনের বিভিন্ন পক্ষে থাকা মানুষদের মধ্যে ঘটে যাওয়া বিষয়। আর আমরা এই ভাঙ্গনটাকে মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করছি।’

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের জনগণ হলেও তাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব নেই। দেশটির সরকার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের অবৈধ জনগোষ্ঠী বলে মনে করে, যদিও তাদের আদি আবাস মিয়ানমারেই। পদে পদে তাদের নানা ধরণের বৈষম্য ও নিগ্রহের শিকার হতে হয়।

২০১২ সালের জাতিগত দাঙ্গার পর মিয়ানমারে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির তৈরি করে মিয়ানমারে বসবাস শুরু করে। আর রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক সেনা অভিযানের সহিংসতায় ৭০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়।