শুরুতে ওয়ার্নারের চেনারূপ, শেষে ভুবনেশ্বরের ভয়ঙ্কর ছোবল, আর মাঝে মানান বোহরার রুদ্রমূর্তি; উপলে রোমাঞ্চকর এক ক্রিকেট ম্যাচের শেষে জিতে ফিরেছে অবশ্য হায়দরাবাদই। সোমবার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে ৫ রানে হারিয়েছে মোস্তাফিজুর রহমান-বিহীন সানরাইজার্সরা।
বাংলাদেশের ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে আইপিএলের রঙিন ক্রিকেটের ঝাঁপিতে কাঙ্ক্ষিত দুটি নাম সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান। সোমবার কেকেআর একাদশে যেমন আরেকবার উপেক্ষিত টাইগারদের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, তেমনি হায়দরাবাদ একাদশেও জায়গা মেলেনি দলটিকে গত আসরে শিরোপা জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা টাইগার পেসার কাটার মাস্টারের।
দিনের দুটি ম্যাচে দুই আকাঙ্ক্ষিত তারকাকে না পেয়ে নিশ্চিতভাবেই হতাশ টাইগারভক্তরা। তবে মাঠের ক্রিকেট জমজমাটই হয়েছে। দিনের প্রথম ম্যাচে কলকাতা জিতেছে। দ্বিতীয় ম্যাচে হায়দরাবাদ।
রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে শুরুতে ইনিংসের আগা-গোরা ব্যাট করলেন ডেভিড ওয়ার্নার। সতীর্থরা যখন আসা যাওয়ার মিছিলে, তখন অধিনায়কের অপরাজিত ৭০ রানেই প্রতিপক্ষকে ১৬০ রানের লক্ষ্য বেধে দিতে পেরেছে হায়দরাবাদ। ওয়ার্নার ৭ চার ও ২ ছয়ে ৫৪ বলে ইনিংসটি সাজিয়েছেন। বলার মত আর রান কেবল নামান ওঝার ২০ বলে ৩৪!
লক্ষ্যটি প্রায় টপকেই যাচ্ছিল পাঞ্জাব। ইনিংসের দুই বল আগে গুটিয়ে যাওয়ার সময় ছিল মাত্র ৫ রান দূরে। মানান বোহরা ১৮.৩ ওভারের সময় ফিরে না গেলে ম্যাচটা হাতছাড়া হতে পারত সানরাইজার্সের। বাকিদের মধ্যে যখন কেউ ১৫-এর কোটা পেরোতে পারেননি, তখন বোহরা একাই লড়েছেন। ৯ চার ও ৫ ছয়ে ৫০ বলে ৯৫ রানে সাজঘরে ফিরেছেন।
বোহরার যেখানে পাঁচ রানের জন্য সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ, সেখানে তাকে এলবিডব্লিউ করা ভুবনেশ্বর কুমার উড়েছেন পাঁচ অর্জনের আনন্দেই। এদিন ৪ ওভারে ১৯ রান খরচায় ৫ পাঞ্জাব ব্যাটসম্যানকে সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন ম্যাচ সেরা ভুবনেশ্বর।