চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপপর্বের ছয়টি ম্যাচেই গোল। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর অনন্য এই রেকর্ডের রাতে ঘাম ঝরানো জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে নকআউট পর্বে পা রেখেছে জিনেদিন জিদানের দল।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই রোনালদোর প্রচেষ্টা আটকে দেন অতিথি গোলরক্ষক রোমান বার্কি। পরে অষ্টম মিনিটে ইসকোর বাড়ানো বলে বার্কিকে ফাঁকি দিয়ে প্রথম গোল আনেন বোর্হা মায়োরাল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম গোল তার।
ম্যাচের সময় ১২ মিনিটে গড়াতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রেকর্ড ছোঁয়া রোনালদো। ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপপর্বের ছয়টি ম্যাচেই গোলের অনন্য নজির গড়েন। সঙ্গে স্পর্শ করেন লিওনেল মেসির একটি রেকর্ডও। উয়েফা সেরার গ্রুপপর্বে সর্বোচ্চ ৬০ গোল করার কীর্তি এখন যৌথভাবে দুই মহাতারকার দখলে।
বেনজেমা, মার্সেলো, টনি ক্রুস, লুকা মডরিচকে সাইডবেঞ্চে বসিয়ে রেখে নামা রিয়ালকে এরপরই চেপে ধরে বরুসিয়া। পরপর কয়েকটি আক্রমণ গড়ে ২৬ মিনিটে গোলের কাছাকাছি গিয়েছিল অতিথিরা। রাফায়েলের ক্রসে সেসময় দেয়াল হয়ে দাঁড়ান কেইলর নাভাস। দুই মিনিট পর ক্রিস্টিয়ানের শটও ঠেকিয়েছেন রিয়াল গোলরক্ষক।
ম্যাচের ৩৬ মিনিটে সুযোগ হাতছাড়া করা পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং এরপর সাত মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে ম্যাচের লাগাম টেনে নেন। প্রথমে ৪৩ মিনিটে মার্সেলের ক্রসে বল পেয়ে মাথা ছুঁয়ে জাল খুঁজে নেন, বিরতির পরে ৪৯ মিনিটে আরেকটি হেডে সমতা ফেরান অবামেয়াং।
মধ্যবিরতির পরপরই সমতা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাওয়া বরুশিয়া এরপর আক্রমণের ধার ধরে রাখে সমানতালে। চাপের মধ্যে ম্যাচের ৮২ মিনিটে থিও হার্নান্দেজের বাড়ানো বল জালে ঠেলে লুকাস ভাসকেজ স্বাগতিকদের মান বাঁচা।
পারফরম্যান্স ওঠানামার মধ্যে স্বস্তির এই জয়ে ‘এইচ’ গ্রুপে রানার্সআপ হয়ে সেরা ষোলোয় গেল ১৩ পয়েন্ট জমা করা রিয়াল। গ্রুপের অন্য ম্যাচে অ্যাপোয়েল নিকোশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ১৬ পয়েন্টে শীর্ষে টটেনহ্যাম হটস্পার। আর ২ পয়েন্ট নিয়ে গোলগড়ে নিকোশিয়াকে টপকে তৃতীয় হয়ে ইউরোপা লিগে খেলবে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া।