তিনি আসার পর মরুভূমিতেও নতুন করে ঘাসের বৃদ্ধি ঘটেছে! সূর্যের আলোর পরিবর্তে যার আভার ঝলকানিতে আলোকিত হয়েছে মাদ্রিদ। সেই মাদ্রিদ-শেরিফ প্রিমিয়ার লিগের এক অহংকারী, নিখুঁত নবজাতক যুবকের চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে। নাম তার হ্যারি কেন। নিজের এলাকা রক্ষায় প্রস্তুত রোনালদোও।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদ-টটেনহ্যাম ম্যাচ শুরুর আগে হ্যারি কেন এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো একে অপরের দিকে এভাবেই নজর রাখছেন।
হ্যারি কেন সেই যুবক যিনি রোনালদোর মত একই কায়দায় রেকর্ডগুলো ওলট-পালট করে যাচ্ছেন। গাণিতিক পরিসংখ্যান দিয়ে ইংলিশ তারকার প্রতিভা বিচারের প্রয়োজন খুব একটা নেই। ইপিএলের ইতিহাসে একই বয়সে পর্তুগিজের চেয়েও বেশি এগিয়ে ইংলিশম্যান। ২৪ বছর ২ মাস ১৯ দিন বয়সী টটেনহ্যামের নাম্বার টেন এখন পর্যন্ত ২৬৩ ম্যাচে গোল করেছেন ১৩৮টি। একই বয়সে প্রিমিয়ার লিগে রোনালদো করেছিলেন ১৪০ গোল। তবে পর্তুগিজ তারকাকে মাঠে নামতে হয়েছিল ৩৮০ ম্যাচে।
চলতি মৌসুমেও দুজনে ছুটছেন সমানে সমান। ২০১৭ সালে ৪৩ গোল করে এসেছে দুজনের থেকে। অবশ্য একই বয়সে পৌঁছে, ৮৪ গোল করতে ১২৪ ম্যাচ খেলেছেন কেন। সেখানে রোনালদোর খেলতে হয়েছিল ১৯৬ ম্যাচ। গড় গোলে দুজনের ব্যবধান, কেন ০.৬৮ এবং রোনালদো ০.৪৩।
নিজের সেরা ফর্ম নিয়েই মাদ্রিদে পা রেখেছেন কেন। তবে গত কয়েক বছরে দারুণ উন্নতি স্বত্ত্বেও রিয়ালের বিপক্ষে তাদের ফর্মটা নিম্নমুখী।
কেনের মত ২৪ বছর বয়সেই রোনালদো যখন স্পেনে এসেছিলেন (ম্যানইউর হয়ে ম্যাচ খেলতে) তখন তিনি বিশ্বের সেরা ক্লাবগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণে তুঙ্গে ছিলেন। যার মধ্যে লস ব্ল্যাঙ্কোসরাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এখন কেনও কিন্তু তাই। মুখোমুখি হয়ে একে অপরের দিকে না তাকালেও রোনালদো এবং কেন দুটি আলাদা যুদ্ধের লড়াই করছেন যা আসলে একই। কেননা কেনের প্রতি ভালোভাবেই দৃষ্টি রেখেছে রিয়াল কর্তৃপক্ষ।