নিজে প্রধান নির্বাচক। তাই ভাতিজা ইমাম-উল-হককে যখন জাতীয় দলে নিয়েছিলেন, তখন কেউ কেউ উশখুশ শুরু করেছিলেন। ইতিহাসের তৃতীয় অল্প বয়সী ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ইমাম দেখিয়ে দিলেন তার চাচা ইনজামাম-উল-হক এতটুকু ভুল করেননি।
ইমামের এমন সেঞ্চুরিতে দুই ম্যাচ আগেই পাঁচ ম্যাচের সিরিজ নিজেদের করেছে পাকিস্তান।
অভিষেক ওডিআইতে এখন পর্যন্ত ১৩ জন ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করেছেন। ইমামকে নিয়ে তালিকায় পাকিস্তানের মোট দুজন। ১৯৯৫ সালে প্রথম করেছিলেন সালেম এলাহি। তিনিই সবচেয়ে কম বয়সে অভিষেক ওডিআইতে সেঞ্চুরি করেন। তখন তার বয়স ছিল ১৮ বছর। দ্বিতীয় কম বয়সী সেঞ্চুরিয়ান হংকংয়ের মার্ক চ্যাম্পম্যান, ২১ বছর ১৪২ দিন। ডিসেম্বরে ২২ বছরে পা দিবেন ইমাম।
শ্রীলঙ্কা এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করে ২০৮ রান করে। হাসান আলী ৩৪ রান খরচায় ৫ উইকেট নেন। একই সঙ্গে ওডিআই ক্রিকেটে চতুর্থ দ্রুততম বোলার হিসেবে ৫০ উইকেটের মাইলফলকে পা রাখেন। হাসান ২৪ ম্যাচে এই কীর্তি গড়েন। তিনিই পাকিস্তানের প্রথম বোলার, যিনি এত সংখ্যক ম্যাচে ৫০ উইকেট নিলেন। ওয়াকার ইউনুসের লেগেছিল ২৭ ম্যাচ।
জবাব দিতে নেমে ৪২ ওভার ৩ বলে জয় পায় পাকিস্তান। ১২৪ বলে শতকে পৌঁছান ইমাম।
ইমাম যে জাতীয় দলে আসছেন, সেটা বোঝা গিয়েছিল বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপে।
পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে খেলতে এসে কক্সবাজারে গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে টানা সেঞ্চুরি করেছিলেন। টুর্নামেন্ট জুড়েই ভালো খেলেন তিনি।
চাচার মতো বড় ক্রিকেটার হওয়ার মনছবি নিয়ে খেলাধুলায় আসেননি ইমাম। তার ক্রিকেটে আসার গল্পটা একটু ভিন্ন। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার পিনাক ঘোষের মতো। পিনাক ওজন কমাতে ছোটবেলায় ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। ইমামের ক্ষেত্রেও হয়েছে তাই। মুটিয়ে যাওয়ায় বাবা ইনসারাম-উল-হক পরামর্শ দেন বড় ভাইয়ের সঙ্গে মাঠে যেতে। ধীরে ধীরে ইমাম হয়ে ওঠেন পেশাদার ক্রিকেটার। এখনকার শারীরিক গড়ন দেখার মতো। শরীরের কোথাও মেদ নেই।