আছে রুবি পাথর, নীলকান্তমণি, হীরা, স্বর্ণ, প্লাটিনামসহ আরো অনেক কিছু। প্রশ্ন আসতে পারে কি নেই এই ৩৫ লাখ টাকা দামের মোবাইল সেটে?
সম্প্রতি রাজধানীর মার্কেট থেকে বিলাসবহুল ভারটু ব্র্যান্ডের মোবাইলসহ প্রায় ২০০ ফোনসেট আটক করে শুল্ক গোয়েন্দারা। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ও বিটিআরসির অনুমোদিত আইএমইআই নম্বর ব্যতিত আমদানি করায় এসব ফোনসেট জব্দ করা হয়। এর মধ্যে ভারটু সেটটি (রেড গোল্ড ব্ল্যাক সিরামিক এডিশন) অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
ভারটু মোবাইল সম্পর্কে কারো কারো জানার আগ্রহ থাকায় কয়েকটা তথ্য দিয়ে কৌতুহল মিটানোর চেষ্টা করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের ডিরেক্টর জেনারেল মইনুল খান। নিজের ফেসবুক পেজে তুলে ধরেছেন উদ্ধার করা ফোনসেটের নানান বৈশিষ্ট।
নকিয়ার তৈরি ২৩৮গ্রাম ওজনের সেটটির পার্শ্বদেহ ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ দিয়ে মোড়ানো। এর স্ক্রিনটি সলিড স্যাফায়ার (নীলকান্তমণি) ক্রিস্টালের তৈরি। স্যাফায়ার ক্রিস্টাল হচ্ছে ডায়মন্ডের পরে দ্বিতীয় শক্ত ধাতু। ফলে এতে কোন স্ক্র্যাচ পড়ে না।
ফোনসেটটি ইংল্যান্ডের সুদক্ষ হস্তশিল্প কারিগর দ্বারা সম্পূর্ণভাবে হাতে তৈরি করা হয়। মূলত বিশেষ শ্রেণির ক্রেতাদের ফরমায়েশের ভিত্তিতে তৈরি হয় এই সেট।
এর কিপ্যাডে রয়েছে ৪.৭৫ ক্যারেট রুবি পাথর। সেটটির ডাইমেনশন-৫.১২ ইঞ্চি দীর্ঘ *১.৬৫ ইঞ্চি প্রস্থ*০.৫১ ইঞ্চি পুরু। পুরো ফোনটি উত্তর ইঊরোপের বিশেষ হার্ডকাট চামড়া ও প্লাটিনাম ধাতুর মিশেলে তৈরি।
ক্রেতারা চাইলে নিজেদের পছন্দমত রঙ এবং সেলাইয়ের নকশার ফরমায়েশও করতে পারেন। একাডেমি এওয়ার্ডজয়ী সুরশিল্পী দারিও মারিয়ানেল্লি এই ফোনের জন্য আলাদাভাবে এক্সক্লুসিভ রিংটোন ও এলার্ট টোন সুর করেছেন যা পরে বিখ্যাত লন্ডন সিম্ফনি অর্কেস্ট্রার যন্ত্রশিল্পীদের দ্বারা রেকর্ড করা হয়।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই সেটে কোন ক্যামেরা নেই এবং এতে মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহার করে ইন্টারনাল স্টোরেজ এক্সপ্যানশন করা যায় না। সেটটির মূল্য বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৫ লাখ টাকা (২৬,০০০ ইউরো)।
শুল্ক গোয়েন্দারা এটাও নিশ্চিত করেন যে, এই দামি মোবাইল ব্যবহারে বাধা নেই। তবে যথাযথ শুল্ক ও কর দেয়া এবং বিটিআরসি-র অনুমোদন নেয়াটা দেশের প্রচলিত আইনের বিধান।