চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

রুপা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আরো ৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ল’কলেজের ছাত্রী রুপা খাতুনকে ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় আদালতে মঙ্গলবার ৬ষ্ঠ বারের মতো আরো ৪ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন করেছেন আদালত।

এতে সাক্ষ্য দেন রুপার ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সাইদুর রহমান, সুরতাহল প্রতিবেদনের সাক্ষী কিশোর এবং মান্নান। এছাড়াও পুলিশের জব্দ তালিকার সাক্ষী মো. আব্দুল হান্নান সাক্ষ্য প্রদান করেন। এ নিয়ে মামলার বাদিসহ ১৯ জনের আদালতে সাক্ষী ও জেরা সমাপ্ত হলো।

আগামীকাল বুধবার মামলার আসামীদের ১৬৪ ধারা জবানবন্দি লিপিবদ্ধকারী ৪ ম্যাজিস্ট্রেটগণের সাক্ষীর জন্য আদালত দিন ধার্য করেছেন।

টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া দুপুর ১২টায় এই চাঞ্চল্যকর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন।

প্রথমে নিহত রুপার ময়নাতদন্তকারী ডাক্তার সাইদুর রহমান আদালতের কাঠগড়ায় সাক্ষ্য প্রদান করেন। তিনি তার সাক্ষ্যে রুপার মৃত্যুর কারণ হিসেবে মাথায় আঘাতের কথা জানান এবং ধর্ষণের আলামত পাওয়ার কথা বলেন। পরে ঘণ্টাব্যাপি আসামী পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। এরপর সুরতহাল রিপোর্টের সাক্ষী কিশোর ও মান্নান এবং জন জব্দ তালিকার সাক্ষী মো. আব্দুল হান্নান সাক্ষ্য প্রদান করেন।

গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপা খাতুনকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

রুপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় এসে লাশের ছবি দেখে রুপাকে সনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর, সুপারভাইজার সফর আলী এবং সহকারি শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশের কাছে তারা রুপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। ২৯ আগস্ট বাসের তিন সহকারি শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং ৩০ আগস্ট চালক হাবিবুর এবং সুপারভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা সবাই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে আছে।

৩১ আগস্ট রুপার লাশ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তারাশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।