চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

তারুণ্য ও সংগ্রামের কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মৃত্যুবার্ষিকী

প্রতিবাদী রোমান্টিক কবি হিসেবে পরিচিত প্রয়াত কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর ২৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯১ সালের ২১ জুন ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক এই কবি।

১৯৫৬ সালের ১৬ অক্টোবর বাবার কর্মস্থল বরিশাল জেলায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার মূল বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার মিঠেখালি গ্রামে।

ঢাকা ওয়েস্ট অ্যান্ড হাইস্কুল থেকে ১৯৭৪ সালে এসএসসি এবং ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৭৬ সালে এইচএসসি পাস করেন রুদ্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে তিনি ১৯৮০ সালে সম্মানসহ বিএ এবং ১৯৮৩ সালে এম এ ডিগ্রি লাভ করেন।

আশির দশকে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠে যে ক’জন কবি বাংলাদেশি শ্রোতাদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি তাদের অন্যতম। তার জনপ্রিয় কবিতার মধ্যে অন্যতম ‘বাতাসে লাশের গন্ধ’।

তিনি ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা। জাতীয় কবিতা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম সম্পাদক। ১৯৭৫ সালের পরের সবক’টি সরকারবিরোধী ও স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে রুদ্র অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, দেশাত্মবোধ, গণআন্দোলন, ধর্মনিরপেক্ষতা, ও অসাম্প্রদায়িকতা তার কবিতায় বলিষ্ঠভাবে উপস্থিত। এছাড়া স্বৈরতন্ত্র ও ধর্মের ধ্বজাধারীদের বিরুদ্ধে তার কণ্ঠ ছিল উচ্চকিত।

তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ৩৪ বছরের স্বল্পায়ু জীবনে সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং ভালো আছি ভালো থেকো সহ অর্ধশতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন।

কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৮০ সালে তিনি মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার লাভ করেন।

১৯৮১ সালের ২৯ জানুয়ারি এই লেখক বহুল আলোচিত নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে বিয়ে করেন। ১৯৮৮ সালে তাদের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটে।

১৯৯১ সালের ২১ জুন তারিখে রুদ্র ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।