চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘রিভিউয়ে রায় পরিবর্তনের নজির নেই’

মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের রায়ের রিভিউ শুনানি আগামীকাল সোমবার।

গত ২০ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন শুনানির জন্য এ দিন নির্ধারণ করেন। ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে অবকাশকালীন ছুটি থাকায় বন্ধ ছিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার শুরু হবে উচ্চ আদালতের নিয়মিত কার্যক্রম।

এর আগে ১৫ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষ থেকে রিভিউ শুনানির দিন নির্ধারণের জন্য আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করা হয়। আগের দিন সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের পক্ষে আলাদাভাবে রায় রিভিউ আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা।

মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত রায় রিভিউ সম্পর্কে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির ও গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার দুজনেই প্রত্যাশা করছেন, মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকার কথা।

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশেই এমনকি বাংলাদেশেও রিভিউ রায় পরিবর্তনের নজির নেই। এখানে দেখা হয় মুদ্রণ জনিত কোনো ভুল-ক্রুটি হয়েছে কিনা কিংবা দাড়ি কমা সংশোধন।

‘শনিবার ঘন্টা খানেকের ব্যবধানে জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা ও শুদ্ধস্বরের প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুলসহ তার দুই বন্ধুকে হত্যা চেষ্টা রিভিউয়ের রায়ের এক প্রকারের ভয়ভীতির প্রদর্শন ছাড়া কিছু নয়।’

শাহরিয়ার কবির আরো বলেন, সরকারের উচিত আমাদের বইয়ের প্রকাশক, যারা মুক্ত চিন্তার লেখক তাদের নিরাপত্তা জোরদার করা। হেফাজতে ইসলাম ৮৪ জনের যে তালিকা দিয়েছিল সেই মোতাবেক তারা হত্যযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার এখনো কিছুই করতে পারেনি। কারণ আমাদের প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে জামায়াত ইসলামীর লোক রয়েছে।

গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, রিভিউ এর রায় পরিবর্তনের কোন সুযোগই নেই। বিশ্বে কোনো দেশেই এই আইন প্রচলিত নেই।

ইমরান এইচ সরকার আরো বলেন, মানুষ হত্যা করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করা যাবে না। বাংলার গণ মানুষ তা কখনোই মেনে নিবে না।

গত ১৬ জুন মুজাহিদ ও ২৯ জুলাই সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিল মামলার সংক্ষিপ্তাকারে চূড়ান্ত রায় দেন আপিল বিভাগ। পরে ৩০ সেপ্টেম্বর তা পূর্ণাঙ্গ আকারে প্রকাশ পায়।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই মুজাহিদকে ফাঁসির রায় দেন ট্রাইব্যুনাল-২। আর ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সাকা চৌধুরীকে ফাঁসির রায় দেন ট্রাইব্যুনাল-১।