প্রীতি ম্যাচ বলে তাতে ঝাঁজটা কম ছিল না। সেই ঝাঁজটা আবার একপাক্ষিক। ফলাফল দেখে অবশ্য ম্যাচের চিত্র বোঝা কঠিন। যদিও গোলমুখ চিনতে সময় লাগল ৮৬ মিনিট পর্যন্ত। এই বিলম্ব ছাড়া ফুটবলের পুরোটাই উপহার দিল আর্জেন্টিনা।
খেলা হয়েছে তিন ডিগ্রিরও কম তাপমাত্রায়। হাড় হিম করা ঠাণ্ডা আর বরফের সঙ্গে প্রতিরোধের দেয়াল হয়ে দাঁড়ানো রুশ গোলকিপারও শেষ পর্যন্ত আটকে রাখতে পারেনি মেসি-আগুয়েরোদের। স্বাগতিকদের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় দিয়ে বিশ্বকাপের আগে একটা বার্তাও দিয়ে রাখল সাম্পাওলির দল।
প্রথমার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে আর্জেন্টিনা। ৭০ শতাংশের বেশি বল দখল রেখে একাধিক গোলের সুযোগও তৈরি করে। তবে রাশিয়ার জমাট রক্ষণের সঙ্গে প্রবল ঠাণ্ডা এবং ভাল ফিনিশিংয়ের অভাবে গোলশূন্য সমতা নিয়েই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
বিরতির পর গোলের জন্য মরিয়া হয়ে পড়ে আর্জেন্টিনা। একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে রাশিয়াকে কোণঠাসা করে ফেলেন লিওনেল মেসিরা। তবে কোনোভাবেই আসছিল না কাঙ্ক্ষিত গোল। অবশেষে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হওয়ার চার মিনিট আগে দেখা মেলে গোলের।
ম্যাচের ৮৬ মিনিটে মেসির পাস থেকে বল পান ক্রিস্টিয়ান প্যাভন। এই অভিষিক্ত তারকার পাস থেকে পেনাল্টি বক্সের ভেতরে বল পেয়ে গোলমুখে দারুণ শট নেন সার্জিও আগুয়েরো। প্রথম প্রচেষ্টায় আগুয়েরোর শট রুশ ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে দারুণ হেডে প্রতিপক্ষের জাল কাঁপান ম্যানচেস্টার সিটি ফরোয়ার্ড।
ম্যানসিটির জার্সিতে গোলের পর গোল করে চললেও জাতীয় দলের জার্সিতে খরা চলছিল আগুয়েরোর। সাম্পাওলির অধীনে দলে সুযোগ পেয়ে খরা কাটালেন। ২০১৬’র জুনের পর এই প্রথম দেশের হয়ে গোল করলেন আগুয়েরো। বিখ্যাত নীল-সাদা জার্সিতে এটি তার ৩৫তম গোল।
লিড নেয়ার পরও আক্রমণাত্মক খেলার ধার কমায়নি আর্জেন্টিনা। একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষ শিবিরে হানা দিতে থাকে সফরকারীরা। তবে এরপর আর সাফল্য আসেনি। জয়ের স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়তেও সমস্যা হয়নি।
আসন্ন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে রাশিয়াতেই আগামী বুধবার আরেক প্রীতি ম্যাচে মাঠে নামবে মেসিরা। সেই ম্যাচে আর্জেন্টিনা প্রতিপক্ষ নাইজেরিয়া।