চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

রাশিয়াকে ‘দর্শক’ বানিয়ে সেমিতে মেক্সিকো

আগামী বছর ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। তার আগে নিজেদের দেশে আরেক টুর্নামেন্টে প্রস্তুতিটা ভালো হল না রাশিয়ার। বাঁচা-মরার ম্যাচে কনফেডারেশন্স কাপে মেক্সিকোর কাছে ২-১ গোল হেরে দর্শক হয়ে আসরের বাকি অংশ দেখতে হবে স্বাগতিকদের।

আর এই জয়ে পর্তুগালের সঙ্গে সেমির মঞ্চে পা রাখল ১৯৯৯ সালের শিরোপাজয়ী মেক্সিকো। তিন ম্যাচে এক ড্র এবং দুই জয়ে পর্তুগালের সমান ৭ পয়েন্ট তাদের। গোল ব্যবধানে পিছিয়ে রানার্সআপ তারা। ২৯ জুন মেক্সিকানরা মুখোমুখি হবে অন্য গ্রুপের সেরাদের বিপক্ষে।

জিততেই হবে এমন সমীকরণে কাজানে ম্যাচের ২৫ মিনিটে প্রথম গোলের হাসিতে হেসেছিল স্বাগতিকরাই। রাশিয়ান মেসি তকমা পাওয়া আলেকজান্ডার গোলোবিনের পাস থেকে মেক্সিকোর ডি-বক্সে সুবিধাজনক স্থানে বল পান এরোকিন সাখফস। তা থেকে গোলে শট নিতে ব্যর্থ হওয়ায় বল ক্রস করে দেন আলেকজান্ডার সামেদোভের দিকে। সেই ক্রসে জোরাল শটে মেক্সিকোর জালে বল জড়িয়ে স্বাগতিকদের আনন্দে ভাসান সামেদোভ।

গোল খেয়েই গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে মেক্সিকো। পাল্টা আক্রমণের পসরা সাজিয়ে ৩০ মিনিটে সমতা ফেরায় তারা। হেক্টর হের্রেরার দূরপাল্লার শট মাথা ছুঁয়ে রাশিয়ান গোলরক্ষক আকিনেফকে পরাজিত করেন নেস্টর আরুজো।

দ্বিতীয়ার্ধের ৫২ মিনিটে এক শিশুতোষ ভুলে মেক্সিকোকে গোল উপহার দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক আকিনেফ। প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে দূরপাল্লার এক শটে নিজেদের অর্ধে থাকা আকিনেফ চাইলে হাত দিয়ে ধরতে পারতেন। কিন্তু তা না করে পা দিয়ে শট নিতে গিয়ে বল তুলে দেন মেক্সিকোর হারবিন লাজানোকে। আর সেই পড়ে পাওয়া সুযোগ থেকে মাথা ছুঁয়ে দলের জয় সূচক গোলটি করেন লাজানো।

ম্যাচে রাশিয়ার সর্বনাশের ষোলোকলা পূর্ণ হয় ৬৮ মিনিটে দুই হলুদ কার্ডের জেরে ইউরি জেরিকোভ আসরের প্রথম লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়লে।

মেক্সিকো ব্যবধান বাড়াতে পারতো আরও। ৬৯ মিনিটে রায়েসের গোল প্রথমে রেফারি গোলের বাঁশি বাজালে পরে রিভিউয়ের মাধ্যমে বাতিল করে দেন।

ম্যাচের ৭৩ মিনিটে সমতা ফেরানোর দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন স্মোলিনিকোভ। মেক্সিকোর ডি-বক্সে সতীর্থের এক দারুণ ভলি বারের উপর দিয়ে মারেন এই ডিফেন্ডার।

পরে আর গোলের সুযোগ বের করতে পারেনি রাশিয়া, হয়নি ম্যাচে ফেরাও। ঘরের মাঠে কনফেডারেশন্স কাপ থেকে মাথা নিচু করেই বিদায় নিতে হল স্বাগতিকদের।