চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

রপ্তানিতে প্রণোদনা পাওয়ার আশা ওষুধ শিল্প সমিতির

দেশের ওষুধ শিল্পকে দ্রুত এগিয়ে নিতে সরকার আগামী বাজেটে এ খাতের রপ্তানিতে প্রণোদনা দেয়ার ব্যবস্থা করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি ও সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন।

সোমবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ ফার্মা: অতীত বর্তমান ভবিষ্যত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।

নাজমুল হাসান পাপন বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প দেশের ৯৮ ভাগ চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের ১২৭টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। ইনসুলিনসহ সব ধরনের ওষুধ বাংলাদেশে উৎপাদন হচ্ছে। ফলে দেশের মানুষকে এখন অতিরিক্ত দাম দিয়ে বিদেশি ওষুধ কিনতে হয়না। পোশাক শিল্পের পর এটি সম্ভাবনাময় খাত। তাই আশা করছি রপ্তানি বাড়াতে আগামী বাজেটে ওষুধ রপ্তানিতে সরকার প্রণোদনা দেবে।

তিনি আরও বলেন, ইতোমেধ্যে সব ধরনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সুবিধাসহ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ওষুধ শিল্পের জন্য এপিআই শিল্প পার্ক প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। শিগগিরই সেখানে ওষুধ শিল্প মালিকদের প্লট বরাদ্দ দেয়া হবে। এ পার্কে ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন করা হবে। এর ফলে আমদানি নির্ভরতা কমে যাবে। বেঁচে যাবে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বর্তমানে ওষুধ শিল্পের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হচ্ছে ১৬ শতাংশ। রপ্তানি বাড়ায় প্রবৃদ্ধিও বাড়ছে খুব দ্রুত। আশাকরি শীঘ্রই ওষুধ রপ্তানিতে বিশ্বের অন্যতম দেশ হবে বাংলাদেশ।

মেধাস্বত্বের সুযোগ কাজে লাগিয়ে আগামী ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন করতে সক্ষম হবে উল্লেখ করে সমিতির মহাসচিব এসএম শফিউজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ওষুধ শিল্পে মেধাস্বত্ব ছাড় পেয়েছে। এটা না পেলে বর্তমান বাজারে যে ওষুধ ৪ থেকে ৫ টাকায় কেনা যায়, তা কিনতে হতো ১১০ থেকে ১২০ টাকায়।

তিনি বলেন, মেধাস্বত্ব ছাড়ের এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশের শীর্ষ রপ্তানি খাত হবে ওষুধ শিল্প।

সমিতির উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, দেশের অভ্যন্তরেই বছরে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার ওষুধ বিক্রি হয়। আন্তর্জাতিক বাজারেও দ্রুত ওষুধ রপ্তানি বাড়ছে। ওষুধের সঠিক মান ও গুণাগুণ নিশ্চিত করায় আন্তর্জাতিক বাজারে ও দেশে ওষুধের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে। রপ্তানিতে প্রণোদনা দিলে এ খাত থেকে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যাবে।

ভেজাল ওষুধ উৎপাদনকারিদের প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, যারা ভেজাল ওষুধ তৈরি করে তারা ওষুধ শিল্প সমিতির সদস্য নয়। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

সভায় সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি হারুনুর রশিদ, সহসভাপতি সাঈদ এস কায়সার কবির, উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস’র চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মুক্তাদিরসহ সমিতির অন্যান্য সদস্য ও ওষুধ উৎপাদনকারীরা উপস্থিত ছিলেন।