চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আসামী পলাতক থাকলে শুধু রায়ে সন্তুষ্ট থাকা যায় না

কলঙ্ক মোচন এবং জাতীয় দায় শোধের ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। গাইবান্ধার জামায়াত নেতা যুদ্ধাপরাধী আবু সালেহ মুহাম্মদ আবদুল আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এ রায় হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় দেন। নবগঠিত ট্রাইব্যুনালে এটিই প্রথম রায়। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ সাংবাদিকদের বলেন: আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত তিনটি অভিযোগই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হয়েছে। ছয় আসামিকে প্রথম অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং অপর দুটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীর মতো এই মামলায়ও সর্বোচ্চ শাস্তি সবাই প্রত্যাশা করেছিল। তবে আশঙ্কার বিষয় হলো- মামলার পাঁচ আসামি এখনও পলাতক। ট্রাইব্যুনাল পলাতকদের গ্রেপ্তারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। আমরা আশা করি, অনতিবিলম্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ মহাপরিদর্শক যথাযথভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এই সরকারে অন্যতম নির্বাচনী ওয়াদা ছিলো একাত্তরের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ সম্পন্ন করা। এই পর্যন্ত প্রায় সকল শীর্ষ ‍যুদ্ধপরাধীর বিচার হয়েছে, অনেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ গত বছর থেকে আমরা আন্তর্জাাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের কার্যক্রমে কাঠামোগতভাবে পরিবর্তন দেখতে পেয়েছি। এই কাঠামোগত পরিবর্তেনের পর এটিই ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায়। এই মামলার রায়ের মাধ্যমে আবার ইতিহাসের ঘৃণ্যতম হত্যার বিচার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে, এই মামলার মূল অভিযুক্ত শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা আজিজসহ পাঁচজনই পলাতক রয়েছে। পলাতক আসামীদের রাষ্ট্রের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকেই গ্রেপ্তার করতে হবে। গ্রেপ্তার করার মধ্য দিয়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে রাষ্ট্রকেই গ্লানিমুক্ত হতে হবে। আমরা শুধু রায় নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারি না। রায়ের দ্রুত কার্যকর দেখতে চাই। যেটি রাষ্ট্রের প্রশাসন যন্ত্রের সহযোগিতা ছাড়া অসম্ভব। আমরা একাত্তরের এই ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের বিচারের রায় দ্রুত কার্য়কর দেখতে চাই।