পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর আঁকা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নিয়ে সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সে বিষয়ে ফেসবুকে লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন।
তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, “আমার ৮ বছরের ছেলে অঝর তার নিজের হাতে আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবিটি ভয়ে লুকিয়ে ফেলেছিল। আরো কয়েকটি ছবির সাথে বঙ্গবন্ধুর ছবিটিও তার পড়ার টেবিলে ছিল। আজ বাসায় এসে সে প্রথমে এই কাজটি করেছে। তার ধারণা এই ছবির জন্য পুলিশ তার বাবাকে ধরে নিয়ে যেতে পারে।
আজ সে মায়ের সাথে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলো। সেখানে সে আলোচনা শুনেছে বঙ্গবন্ধুর ছবি ঠিকমতো না হওয়ায় পুলিশ একজনকে ধরে নিয়ে গেছে। ছবিটি লুকানোর অবশ্য যথেষ্ট কারণ আছে।
অঝরের ধারণা তার নিজের চুলগুলোই সবচেয়ে সুন্দর। তাই আঁকার সময় সে বঙ্গবন্ধুর ছবির মধ্যে নিজের চুলের স্টাইলটি প্রায়ই যুক্ত করে দেয়। আমি কখনোই এটাকে বিকৃত হিসাবে দেখিনি। বরং ভালোই লেগেছে যে আমার অবুঝ ছেলেটি বঙ্গবন্ধুকে তার মতোই সুন্দর করে দেখে। বিকৃত করার জন্য নিজের চুলের স্টাইলটি যুক্ত করেনা।
আমি বাসায় এসে তাকে বুঝিয়ে আবার বঙ্গবন্ধুর ছবিটি পড়ার টেবিলে নিয়ে এসেছি। তাকে আমার বলতে হয়েছে, যারা ওই কাজটি করেছে তারা দুষ্ট লোক।”
গত বছর গাজী তারেক সালমান বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকাকালে ২৬ মার্চের অনুষ্ঠানের একটি আমন্ত্রণপত্র প্রকাশ করেন। ওই আমন্ত্রণপত্রের পেছনের পাতায় পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া একজন শিশুর আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাপানো হয়।
স্বাধীনতা দিবসের আমন্ত্রণপত্রের পেছনের পাতায় বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাপানোয় জাতির জনকের মানহানী হয়েছে অভিযোগে গত ৭ জুন বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ওবায়েদুল্লাহ সাজু বাদী হয়ে আগৈলঝাড়ার ইউএনও গাজী তারেক সালমানের বিরুদ্ধে বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
বরিশালের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট্র আদালতের বিচারক মো. আলী হোসাইন বুধবার সকালে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন। পরে একই আদালত দুপুরে তাকে জামিন দেন।