চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মৌসুমের শুরুতেই সংশয়ে রাজশাহীর আম চাষীরা

আম মৌসুমের শুরুতেই নানামুখি সংশয়ে পড়েছেন আমের রাজধানীখ্যাত রাজশাহীর চাষীরা। আম ভাঙার তারিখ নির্ধারণের নামে চাষীদের লোকসানসহ কৃষির সম্ভাবনাময় খাতটির বহুমুখি ক্ষতি থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন তারা।

আম বাগানগুলোতে কেবল মুকুল থেকে বেরিয়েছে গুটি। কোথাও গুটি পেয়েছে মটরদানার আকার। গাছে আম ধরে রাখতে বহুমুখি পরিচর্যার ভেতর চাষীদের এখন সংশয় ফলন মৌসুমে আবার না কি খড়গ নেমে আসে তাদের ওপর।

আম ব্যবসায়ীরা বলছেন, আম চাষ করে ব্যবসায়ীরা বাজারজাত করতে গিয়ে ধাপে ধাপে বাধাগ্রস্ত, বিপদগ্রস্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারের আদেশ নির্দেশ মানতে যেয়েই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আম চাষীরা। আর সে কারণেই ৮০ শতাংশ আম চাষ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যেই ২০ শতাংশ ব্যবসায়ী আছে তারা যদি মুখ ঘুরিয়ে নেয় তাহলে আমাদের দেশের শ্রমিক না খেয়ে মরে যাবে।

প্রায় শতভাগ আমচাষীর এলাকা চারঘাটের পান্নাপাড়া। এখানেই বাঘা ও চারঘাটের শতাধিক চাষী, ব্যবসায়ী, শ্রমিক বসেছেন এক আমবাগানে। এবারও তাদের একই কথা, অবান্তর অভিযোগে আম উৎপাদনকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। থমকে গেছে বাগান বিক্রি।

তারিখ নির্ধারণ করে আম পাড়াকে সমর্থনকে করেন না রাজশাহীর ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীমউদ্দিন। তিনি বলেন, বিভিন্ন জাতের এবং বিভিন্ন লাইনের আম রয়েছে। এগুলো কিছুটা আগাম আসবে, কিছু পরে আসবে। এবং আরো কিছু জাতের আম রয়েছে সেগুলো আরো দেরিতে আসবে।

তবে রাজশাহীর ডিএই অতিরিক্ত উপ পরিচালক মনজুরুল হক বলেন, আমরা এবারের ব্যাপারে খুবই সচেতন আছি। এবার যাতে তারিখ নির্ধারনের জন্য কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে ব্যাপারে আমরা সজাগ রয়েছি।

এ বিষয়ে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দিন বলছেন, জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও কৃষকের স্বার্থ দুদিকেই নজর রয়েছে। তিনি বলেন, ভালো কিছু পাওয়ার জন্য সবাইকে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। যারা ভোক্তা তাদের সচেতন হতে হবে। যারা কৃষক তাদেরকেও সচেতন হতে হবে।

তবে এ ব্যাপারে আম চাষীরা বলছেন, আম চাষের কোনো ক্ষেত্রেই তারা পাচ্ছেন না সরকারি সহায়তা, কিন্তু গাছ থেকে ফল পাড়তে কেন অপেক্ষায় থাকতে হবে প্রশাসনের নির্দেশের?