চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

মোবাইল সিমের ট্যাক্স, ইন্টারনেটে ভ্যাট অব্যাহতির অনুরোধ

মোবাইল সিমের ট্যাক্স এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব দিয়েছে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব)। একইসঙ্গে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোর কর্পোরেট কর কমিয়ে সাধারণ কোম্পানির মতো করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় মঙ্গলবার অ্যামটব তাদের প্রস্তাব তুলে ধরে।

সংগঠনের মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবির বলেন, গ্রাহক আকৃষ্ট ও মোবাইল অপারেটদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য সিম কার্ডের ওপর আরোপিত সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা উচিত।

দেশের ৯৫ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তাই সবার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার সহজ, ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইন্টারনেট সেবার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া দরকার বলে অ্যামটব মনে করে।

নুরুল কবির বলেন, মোবাইল এখন আর শুধু কথা বলার জন্য ব্যবহার হয় না। এটি এখন ডিজিটাল সার্ভিস। কম্পিউটারের ওপর ভ্যাট/ট্যাক্স প্রত্যাহারের পর এর চাহিদা অনেক বেড়েছে। মোবাইলের ওপরও ভ্যাট/ট্যাক্স প্রত্যাহার করলে সবার জন্য সুবিধা হবে। মোবাইলের ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের রাজস্বও বাড়বে।

দেশের ৪৬ শতাংশ মানুষ এখনও মোবাইল নেটওয়ার্কের বাইরে আছে উল্লেখ করে নুরুল কবির বলেন, বিশাল এ জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। মোবাইল অপারেটরগুলো সরকারের ডিজিটাল ভিশন বাস্তবায়নের জন্য বদ্ধপরিকর। তারা গ্রাহকদের বিভিন্নভাবে প্রণোদনা দেয়ার চেষ্টাও করছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মোবাইল অপারেটর কোম্পানিকে ৪০ শতাংশ ও তালিকার বাইরে থাকা কোম্পানিকে ৪৫ শতাংশ হারে কর্পোরেট কর পরিশোধ করতে হয়। সম্ভাবনাময় এ খাতকে আলাদাভাবে বিবেচনা না করে অন্য সাধারণ কোম্পানির মতো কর্পোরেট কর ৩৫ শতাংশ করা উচিত বলেও মনে করে অ্যামটব।

নুরুল কবির বলেন, সিম ও রিম সরবরাহের ক্ষেত্রে ৩৬.৬৫ টাকা ভ্যাট ও ৬৩.৩৫ টাকা সম্পূরক শুল্কসহ ১০০ টাকা সিম ট্যাক্স ও রিপ্লেসমেন্টে সিমে ১০০ টাকা ট্যাক্স পরিশোধ করতে হয়। এই ট্যাক্স পুরোপুরি প্রত্যাহার করা দরকার।

সর্বনিম্ন কর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সর্বন্মিম্ন করারোপ আয়কর আইনের মূলনীতি বিরোধী। কারণ আয়কর রাজস্বের উপর নয়, আয়ের ওপর প্রদান করা হয়। ব্যবসায় লোকসান হওয়ার পরও মূলধন থেকে সর্বনিম্ন কর পরিশোধ করতে হয়; যা ব্যবসার জন্য প্রতিবন্ধকতা।

অনলাইনে ডাউনলোডযোগ্য সফটওয়ারের ওপর শুল্ক হার ২৫ শতাংশ এবং পরিচালন শুল্ক হার ৩ শতাংশ। আর সিডি বা ম্যাগনেটিক মিডিয়া সফটওয়ারের মাধ্যমে আমদানির ওপর শুল্ক ৫ শতাংশ। এটি আমদানিকারকদের জন্য ভারপূর্ণ দাবি করে এটি কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে অ্যামটব।