রাজধানীর খিলক্ষেত নিকুঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গি আনোয়ার হোসেন নব্য জেএমবি’র সাভার অঞ্চলের প্রধান আশ্রয়দাতা এবং অর্থদাতা ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। এছাড়া একইসঙ্গে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গি নাঈম আহমেদ ওরফে আনাসও নব্য জেএমবির সক্রিয় সদস্য বলে দাবি করেছেন তিনি।
শনিবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম এ কথা জানান।
মনিরুল ইসলাম বলেন, আনোয়ার সাভারের হেমায়েতপুরের একটি মোটর গ্যারেজের মালিক। নিজ গ্যারেজে কাজ করার পাশাপাশি সে নব্য জেএমবির সাংগঠনিক কাজ করতো। মাঝে মাঝে সংগঠনের প্রয়োজনে অর্থের যোগানও দিতো।
মনিরুল ইসলাম জানান, নাঈম আহমেদ ওরফে আনাস ওরফে আরিশা কুনিয়া সহ বিভিন্ন নামে পরিচিত ছিল। গ্রেফতারকৃত আনোয়ার ২০১৫ সালে কথিত এক মাস্টারের মাধ্যমে নব্য জেএমবির দাওয়াত পায়। তার সঙ্গে নব্য জেএমবির সারোয়ার জাহান মানিক, রিপন, নোমান, আল-বানী ও ডন’দের যোগাযোগ ছিল।
সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতাকৃত জঙ্গি নাঈম আহমেদ ও বাশারুজ্জামান চকলেট (পুলিশের অভিযানে নিহত) একটি বেসরকারি আইটি প্রতিষ্ঠানে একসঙ্গে কাজ করতো। তারা দু’জনই ২০১৫ সালের দিকে একসঙ্গে নব্য জেএমবিতে যোগ দেয়।
তারা মোবাইল অ্যাপস থ্রিমা’র মাধ্যমে যোগাযোগ করতো বলে পুলিশের কাছে তথ্য প্রমাণ রয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আনোয়ার জানায়, গত বছর (হলি আর্টিজান হামলার আগে) আনোয়ার নব্য জেএমবির শূরা সদস্যদের পরামর্শে গাড়ি হামলার জন্য তার নিজ গ্যারেজেই নব্য জেএমবির সদস্যদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে।
এর আগে শুক্রবার রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত নিকুঞ্জ এলাকা থেকে আনোয়ার হোসেন ও নাঈম আহমেদ ওরফে আনাস নামের নব্য জেএমবির দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেররিকম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। গ্রেফতারের সময় আসামীদের কাছ থেকে বোমা তৈরির ৩০ টি ডেটোনেটর এবং উগ্রপন্থী মতাদর্শের কিছু বই উদ্ধার করা হয়।
সম্প্রতি মিরপুরের দারুসসালামে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে নিহত ‘জঙ্গি’ আবদুল্লাহ’র বিষয়ে সিটিটিসির কাছে কী তথ্য রয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, র্যাবের পক্ষ থেকে গত তিনদিনে আবদুল্লাহ’র বিষয়ে যথেষ্ট পরিমাণ তথ্য দেয়া হয়েছে। এখন আমাদের কাছে থাকা তথ্যগুলো বলা সমীচীন হবে না।