জার্মানির উনিশতম জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ৬ কোটি ১৫ লাখ জার্মান ভোটার তাদের প্রতিনিধি বেছে নেবেন রোববারের এই নির্বাচনে। স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৮টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টা) ভোটকেন্দ্রগুলো খুলে দেয়া হয়। ভোটগ্রহণ চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
এবারের নির্বাচনে ৬৫টি দল অংশ নিচ্ছে। তবে সর্বশেষ জনমত জরিপ অনুসারে, টানা চতুর্থবারের মতো জার্মান চ্যান্সেলর হতে যাচ্ছেন অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। নির্বাচনে বিশ্বজুড়ে ‘জার্মানির স্থিতিশীলতার উৎস’ হিসেবে পরিচিত মেরকেলের জয় প্রায় নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে।
বিবিসি জানিয়েছে, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি’র নেতা ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সাবেক সভাপতি মার্টিন শুলজ।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মেরকেলের ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন এবং সহযোগী ক্রিশ্চিয়ান সোশ্যাল ইউনিয়ন ৩৬.৩ শতাংশ ভোট পেতে যাচ্ছে। আর সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি ২২.১ শতাংশ ভোট পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জার্মান পার্লামেন্টের ৫৯৮ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে সরাসরি নির্বাচন হবে রোববার। আর বাকি ২৯৯ আসনে দলীয় ভোটপ্রাপ্তির শতাংশের হিসাব অনুযায়ী বিভিন্ন দলের তৈরি করা প্রার্থী তালিকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন।
আশা করা হচ্ছে ভোটগ্রহণ বন্ধ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভোটগণনা শুরু হবে এবং খুব দ্রুতই প্রাথমিক ফলাফল আসতে শুরু করবে।
এবারের জাতীয় নির্বাচনটি জার্মানির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এখন পর্যন্ত প্রাদেশিক নির্বাচনের ফলাফল এবং নির্বাচনী জরিপ থেকে যা দেখা গেছে তা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এবারই হয়তো প্রথম নির্বাচিত দলকে ছয় দল নিয়ে পার্লামেন্ট গঠন করতে হতে পারে।
এমনটা যদি হয়, তবে বর্তমানে যে ধরণের জোট সরকার রয়েছে তার কাঠামো ব্যাপকভাবে পাল্টে ফেলতে হবে।
এবারের নির্বাচনে জার্মানিতে বসবাসরত প্রায় ১০ লাখ তুর্কি ভোট দিতে পারবে। তাদের অধিকাংশই এপ্রিলে তুরস্কের গণভোটে এরদোগানকে সমর্থন দিয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্যে আগস্টে এক ভাষণে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছিলেন, জার্মানির ক্ষমতাসীন রাজনীতিকরা তুরস্কের শত্রু। এই নেতারা জার্মান-তুর্কি ভোটারদের কাছে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার যোগ্য। তিনি সেসব দলের প্রার্থীদেরই বুঝেশুনে ভোট দিতে বলেন যে দলগুলো তুরস্কের সঙ্গে কোনোরকম শত্রুতায় জড়িত নয়।