মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা থাকবেন না, সেটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল গত শ্রীলঙ্কা সফরেই। দেশের অন্যতম সেরা অধিনায়কের টি-টুয়েন্টিতে অবসরের পর সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে নবযুগে পা রাখছে বাংলাদেশ টি-টুয়েন্টি দল। সঙ্গে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টুয়েন্টির জন্য দলে ফেরানো হয়েছে আরও পাঁচ জনকে।
শনিবার প্রোটিয়া সিরিজের জন্য ১৪ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিবি। যাতে মুমিনুল হক, নাসির হোসেন, লিটন কুমার দাস, রুবেল হোসেন ও শফিউল ইসলামকে ডাকা হয়েছে। আর চোটে পড়ে আগেভাগে সফর শেষ হয়ে যাওয়া তামিম ইকবাল ও মোস্তাফিজুর রহমান নেই অনুমিতভাবেই।
সাউথ আফ্রিকা সফরের ওয়ানডে দলে মুমিনুল ডাক পেয়েছিলেন হঠাৎ করেই। টেস্ট সিরিজে তামিমের চোট ও অন্য ব্যাটসম্যানদের ফর্মহীনতায় দলে বাড়তি ক্রিকেটার হিসেবে যুক্ত করা হয় তাকে। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য সেটি দীর্ঘ হল টি-টুয়েন্টি দলেও।
মুমিনুল বাংলাদেশের হয়ে ৬টি টি-টুয়েন্টি খেলেছেন। সবশেষ ম্যাচ ঘরের মাঠে ২০১৪ সালের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
নাসির সবশেষ টি-টুয়েন্টি খেলেছেন ধর্মশালায় ২০১৬ সালের মার্চে, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে। রুবেল খেলেছেন চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে।
শফিউলের তথ্য টেনে আনতে অবশ্য টাইমমেশিনে চাপতে হবে! ২০১৩ সালে বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই ফরম্যাটে সবশেষ নেমেছিলেন তিনি। আর লিটন তিন টি-টুয়েন্টির শেষটি খেলেছেন ২০১৫ সালের নভেম্বরে, ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
২৬ অক্টোবর ব্লুমফন্টেইনে ও ২৯ অক্টোবর পচেফস্ট্রমে হবে টি-টুয়েন্টি সিরিজের ম্যাচ দুটি। এই সফরেই টেস্ট খেলায় দুটি ভেন্যুই টাইগারদের কাছে এখন পরিচিত।
বাংলাদেশের টি-টুয়েন্টি স্কোয়াড:
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুমিনুল হক, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন কুমার দাস, নাসির হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।