চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

মিয়ানমারে ‘নিখোঁজ’ রয়টার্সের দুই সাংবাদিক পুলিশ হেফাজতে

মিয়ানমারে ‘নিখোঁজ’ রয়টার্সের দুইজন সাংবাদিক আসলে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে। তবে ইয়াঙ্গুন থেকে এই দুই সাংবাদিক ওয়া লোন এবং কিয়াও সোয়ে ও-কে কেন গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাটি। তাদের গ্রেপ্তারের বিষয় ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অবিলম্বে আরও তথ্য পেতে সচেষ্ট বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

মিয়ানমার সাংবাদিকের স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা বাড়াচ্ছে, বিশেষ করে শক্তিশালী সামরিক বাহিনী বিষয়ক খবরের ক্ষেত্রে।

স্থানীয় পত্রিকাগুলো জানায়, অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট’এর অধীনে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এই মামলার সাথে জড়িত একজন আইনজীবী বিবিসিকে জানান, এই দুইজনের ১৪ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

স্থানীয় পত্রিকা ফ্রন্টেয়ার মিয়ানমার জানায়, দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছে মিলিটারি রিপোর্ট এবং উত্তরাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যের একটি ম্যাপ পাওয়া গিয়েছিলো।

রয়টার্স জানায়, একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছে, মঙ্গলবার রাতে একজন পুলিশ অফিসারের সাথে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মিয়ানমারের মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানায়, অত্যন্ত নীতিবিরুদ্ধ এই গ্রেপ্তারে তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তারা জানায়, ইয়াঙ্গুনে পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করার আমন্ত্রণ পাওয়ার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একটি গণতন্ত্রকে সফল করতে, সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে তাদের কাজ করতে দিতে হবে। এই গ্রেপ্তারের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে এবং সাংবাদিকদের আরও স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে সরকারের কাছে দাবি জানাই।

গত ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের উপর নির্মম অত্যাচার-নিপীড়ণ চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। অত্যাচারের মুখে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই ‘জাতিগত নিধনের’ তীব্র সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক বিশ্ব।

রোহিঙ্গাদের আবাসস্থল রাখাইন রাজ্যে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রিত করে রেখেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। নভেম্বর মাসে দুইজন বিদেশী সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়। স্থানীয় সাংবাদিকরা স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য ‘ভয়ের পরিবেশ’ বিরাজ করছে বলে জানিয়েছে।