চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মিজু আহমেদ আর নেই

চলচ্চিত্রের খল অভিনেতা মিজু আহমেদ (৬৩) আর নেই (ইন্নালিল্লাহি… রাজিউন)। আজ সোমবার দিনাজপুর যাওয়ার পথে রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে ট্রেনে তার মৃত্যু হয়।

জানা গেছে, আহমেদ ইলিয়াস ভূঁইয়ার পরিচালনায় ‘মানুষ কেন অমানুষ’ নামের ছবির শুটিং করতে তিনি দিনাজপুর যাচ্ছিলেন। কমলাপুর থেকে ট্রেনে যাত্রা শুরুর পরই হঠাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। রাজধানীর বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এই অভিনেতার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই চলচ্চিত্রাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মিজু আহমেদের মরদেহ পান্থপথে তার বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মিজু আহমেদের জানাজা, দাফন এবং শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য তাকে এফডিসিতে কখন নেওয়া হবে, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন তার পরিবারের সদস্যরা।

কুষ্টিয়ায় ১৯৫৩ সালের ১৭ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন মিজু আহমেদ। তার প্রকৃত নাম মিজানুর রহমান। শৈশব থেকে থিয়েটারের প্রতি আগ্রহী ছিলেন তিনি। কাজ করেছেন কুষ্টিয়ার স্থানীয় একটি নাট্যদলে।

১৯৭৮ সালে ‘তৃষ্ণা’ ছবির মাধ্যমে অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন মিজু আহমেদ। কয়েক বছরের মধ্যে ঢালিউডে খলনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান। অসাধারণ অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯২ সালে সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি।

মিজু আহমেদ অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হলো— মহানগর (১৯৮১), সারেন্ডার (১৯৮৭), চাকর (১৯৯২), সোলেমান ডাঙ্গা (১৯৯২), ত্যাগ (১৯৯৩), বশিরা (১৯৯৬), আজকের সন্ত্রাসী (১৯৯৬), হাঙ্গর নদী গ্রেনেড (১৯৯৭), কুলি (১৯৯৭), লাঠি (১৯৯৯), লাল বাদশা (১৯৯৯), গুন্ডা নাম্বার ওয়ান (২০০০), ঝড় (২০০০), কষ্ট (২০০০), ওদের ধর (২০০২), ইতিহাস (২০০২), ভাইয়া (২০০২), হিংসা প্রতিহিংসা (২০০৩), বিগ বস (২০০৩), আজকের সমাজ (২০০৪)।

অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন মিজু আহমেদ। প্রয়াত অভিনেতা রাজীবকে নিয়ে তার গড়া প্রযোজনা সংস্থা ফ্রেন্ডস মুভিজ থেকে কয়েকটি ছবি তৈরি হয়।