মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে একটি মাদ্রাসায় ভয়াবহ আগুনে ২২ শিক্ষার্থীসহ ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ ৭ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সিএনএন জানিয়েছে, প্রাথমিক তথ্যে ২৫ জনের মৃত্যুর কথা বলা হলেও পরে কুয়ালালামপুর পুলিশ ২৪ জনের কথা নিশ্চিত করে। আগুন থেকে ৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বয়স ৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। নিহত বাকি দু’জন মাদ্রাসার শিক্ষক।
স্ট্রেইটস টাইমস জানায়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোরে দারুল কুরআন ইত্তিফাকিয়া তাহফিজ সেন্টার নামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিনতলা ভবনের সবচেয়ে ওপরের তলায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে জরুরি সহায়তা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পায়, ততক্ষণে ভবনের প্রায় ৯০ শতাংশই তখন আগুনের কবলে।
ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগের মুখপাত্র সোইমান জাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, ভবনের ভেতর থেকে তখনো চিৎকার শোনা যাচ্ছিল। দমকলবাহিনীর প্রথম দলটি গিয়ে নিচতলা থেকে কোনোমতে পাঁচ শিশুকে উদ্ধার করে।
ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধারকর্মীদের ধারণা, ধোঁয়ায় শিক্ষার্থীদের মৃত্যু হয়েছে।
ভবনে আটকে পড়াদের বেশিরভাগই বের হওয়ার সুযোগ পায়নি বলে প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে। জাহিদ বলেন, মৃতদেহগুলো ভয়াবহভাবে দগ্ধ অবস্থায় ভবনের তিনটি ভিন্ন জায়গায় পাওয়া গেছে। বেশিরভাগই একসঙ্গে স্তুপ অবস্থায়। একটি মৃতদেহ শুধু সামনের দরজার কাছে ছিল। এ থেকে মনে করা হচ্ছে, ভেতরে আটকে থাকা লোকজন একসঙ্গে ছুটোছুটি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেছিল কিন্তু পারেনি।
‘আমার পর্যবেক্ষণ থেকে বলতে পারি, ভবনের জানালায় গ্রিল লাগানো ছিল, যেগুলো ভেতর থেকে খোলা যায় না,’ বলেন মুখপাত্র, ‘আর এই গ্রিলের কারণেই ভেতরে থাকা লোকজন আগুনের সময় জানালা দিয়ে বের হতে পারেনি। শুধু দরজার কাছাকাছি থাকা ৫ শিক্ষার্থী দরজা দিয়ে এবং উদ্ধারকর্মীদের সহায়তায় বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়।’
মালয়েশিয়ার ফেডারেল টেরিটরিজ বিষয়ক মন্ত্রী টেংকু আদনান টেংকু মনসুর জানিয়েছেন, মাদ্রাসাটি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স ছাড়াই কার্যক্রম চালাচ্ছিল।
দ্য স্টার পত্রিকা জানায়, অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক অনুমোদনপত্রের জন্য আবেদন করেছিল মাদ্রাসাটি। সেটি প্রক্রিয়াধীন ছিল। অথচ সেই অনুমোদনপত্র পাওয়ার আগেই মাদ্রাসা তার কাজ শুরু করে দিয়েছিল।