চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জামায়াত সমর্থকের নাম

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে যশোর ও শেরপুরের ষোলজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এই ষোলজনের মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ব্যক্তিগন।

বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার ধানমণ্ডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তদন্তের সারমর্ম তুলে ধরেন সংস্থার জেষ্ঠ সমন্বয়ক সানাউল হক।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আটক, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, হত্যা এবং গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ৫১ এবং ৫২তম তদন্ত প্রতিবেদনে যশোর এবং শেরপুরের অভিযুক্তদের বিষয়গুলো উঠে আসে। ৫১ নম্বর তদন্ত প্রতিবেদনের (শেরপুর/ময়মনসিংহ) তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন মনোয়ারা বেগম। আর ৫২ নম্বর তদন্ত প্রতিবেদনের (যশোর/নড়াইল) তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন আবদুল্লাহ আল মামুন।

৫২ নম্বর তদন্ত প্রতিবেদনে যশোরের মো. খন্দকার শওকত আলী বাবুলের রাজনৈতিক পরিচয় বিএনপি, নড়াইলের মো. গুলজার হোসেন খানের রাজনৈতিক পরিচয় আওয়ামী লীগ এবং মো. দাউদ শেখের রাজনৈতিক পরিচয় জামায়াতে ইসলামী উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া মো. বদরুদ্দোজা জামায়াতে ইসলামী, মো. ওমর আলী শেখ ও আব্দুল ওহাব মোল্লার রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়েছে তৎকালীন মুসলীম লীগ সমর্থক হিসেবে।

আর ৫১ নম্বর তদন্ত প্রতিবেদনে মো. এমদাদুল হক, এ কে এম আকরাম হোসেন এবং এস এম আমিনুজ্জামান ফারুক বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সানাউল হক জানান, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ওসমান ফারুকের বিরুদ্ধে রেগুলার মামলা রয়েছে  এবং ধনকুবের মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে।