অন্যের মাছের ঘেরে জাল ফেলে মাছ ধরার তুচ্ছ অভিযোগ তুলে মো.শহিদুল ইসলাম (১০) নামের ইবতেদায়ী (৫ম শ্রেণী) এক পরীক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখমের পর মাথা ন্যাড়া করার অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষার্থী উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে ভর্তি থাকার কারণে প্রথম দিনের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি।
পরীক্ষার আগের দিন শনিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের পেকুয়ার উজানটিয়া ইউনিয়নের সুন্দরী পাড়া এলাকায় বাড়ির নিকটবর্তী মাছের ঘের থেকে মাছ ধরায় ওই ঘের মালিকপক্ষ এ ঘটনা ঘটায়। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে নুরুল আমিনকে আটক করেছে পুলিশ।
ওই ঘটনায় রোববার শিশুর পিতা নুরুল আজিম বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় পিটিয়ে জখম ও মাথা ন্যাড়া করার একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আহত শিশু শহিদুল ইসলাম উজানটিয়া এসএ মাদ্রাসা থেকে এবারের ইবতেদায়ী পরীক্ষার্থী ছিলেন। পরে তাকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
শহিদের বাবা নুরুল আজিম বলেন, রোববার ছেলের প্রথম পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল। গত শনিবার সন্ধ্যায় মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমার ছেলেকে পিটিয়ে জখম ও মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। সে প্রথম দিনের পরীক্ষা অংশ নিতে পারেনি।
পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.জহিরুল ইসলাম খান বলেন, এ ঘটনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে নুরুল আমিন নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মাহাবুব-উল করিম বলেন, ঘটনাটি আমি স্থানীয় এক সংবাদকর্মীর কাছ থেকে জেনে তাৎক্ষণিক থানা পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। ওই শিশুর অভিভাবক লিখিত এজাহার দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন ওসি।