চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মহামান্য’র ভাষণের দিকে তাকিয়ে রাজনীতি

রোববার শুরু হচ্ছে জাতীয় সংসদের অধিবেশন। রীতি অনুযায়ী বছরের প্রথম অধিবেশন শুরুর দিন ভাষণ দেবেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। এবার তার ভাষণ নিয়ে আগ্রহ অনেক বেশি। এর কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তার সংলাপ। ১৮ ডিসেম্বর শুরু করে এক মাসে বঙ্গভবনে ৩১টি দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি আলোচনা করেছেন। তাই সাধারণ মানুষের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টিও এখন রাষ্ট্রপতির ভাষণের দিকে। রাষ্ট্রপতি যে ভাষণ দেবেন তাতে কি সংলাপ পরবর্তী সমাধানের কোন ইঙ্গিত থাকবে? জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. অরুণ কুমার গোস্বামী চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেছেন, যেহেতু সবগুলো দলের সঙ্গে তিনি (রাষ্ট্রপতি) আলোচনা করেছেন এখন তাই নিশ্চয়ই তিনি একটি সমাধান সিদ্ধান্তে আসবেন বলে আশা করা যায়। একইরকম কথা বলেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল কাসেম। তিনি বলেন, নির্বাচনের অনেক দেরি আছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন গঠনে বেশি সময় হাতে নেই। এ সময়ে রাষ্ট্রপতির ভাষণে একটি দিকনির্দেশনা ও ইঙ্গিত থাকবে বলে আশা করা যায়। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক চ্যানেল আইকে জানিয়েছেন, তারাও আশা করেন যে রোববার সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে ইঙ্গিত থাকবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ বলেছেন, এ মুহূর্তে নির্বাচনই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। তাই রাষ্ট্রপতি এ ইস্যুতেও কথা বলবেন বলে বিএনপি আশা করছে। এর মধ্যেই অবশ্য সংলাপে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের মধ্যে মতৈক্যের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন রাষ্ট্রপতি। বিএনপি মনে করছে, এজন্য আলোচনার প্রয়োজন। আওয়ামী লীগ অবশ্য মনে করে, নতুন করে আলোচনার আর কিছু নেই। এ কারণেই আমরা ড. আবুল কাসেমের বক্তব্যটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি। তিনি বলেছেন, ‘অতীতে এ ধরনের আলোচনাগুলো ব্যর্থ হয়েছে। ফলে এবার রাষ্ট্রপতির দিকনির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছেন অনেকে।’ আসলেই তাই। যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অতীত সংলাপে সাফল্যের কোন নজীর নেই, তাই রাষ্ট্রপতি গ্রহণযোগ্য একটি সিদ্ধান্ত দিলেই হয়তো নতুন কোন সংকট এড়ানো সম্ভব। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির অবস্থানটাও বিবেচনায় নেওয়া যায়। রাষ্ট্রপতির ভাষণের অাগের দিন প্রধান দু’ দলই বলেছে, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের ওপর তাদের আস্থা আছে।