ইরাকের মসুল নগরীতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বহুলোকের হতাহতের খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। ওই হামলায় দুই শতাধিক বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে এমন অভিযোগ এনে জাতিসংঘের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা একে ‘ভয়াবহ প্রণনাশ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
এ ঘটনায় তিনি শোকে স্তব্ধ বলেও উল্লেখ করেন ওই কর্মকর্তা।
বিবিসি জানায়, ২০১৪ সালে কথিত ইসলামিক স্টেট (আইআস) মসুল দখল নেয়। আইএস-এর সর্বশেষ শক্ত ঘাটি হিসেবে পরিচিত মসুল আইএস এর কাছ থেকে পুনরুদ্ধারে ইরাকি সৈন্যরা মাসব্যাপী যুদ্ধ করেছে। যুদ্ধবিমান নিয়ে তাদের সহায়তা করছে মার্কিন সেনাবাহিনী।
তবে বিমান হামলায় কবে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে বলা হয়, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিম মসুলের কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী শুক্রবার একটি ভবন থেকে ৫০টি মৃতদেহ সরিয়ে নিতে দেখেছেন। মার্চের প্রথমদিকে বিমান হামলায় এই এলাকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়।
জাতিসংঘের ধারণা মসুল পুনরুদ্ধারে সরকারি বাহিনীর যুদ্ধে ৪ লাখ বেসামরিক লোক আটকা পড়েছে। প্রায় দুই লাখ লোক সেখান থেকে পালিয়ে গেছে। আগামী সপ্তাহে আরো ৩ লক্ষাধিক লোক ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মার্কিন সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, ১৭ থেকে ২৩ মার্চের হামলায় বেসামরিক লোক নিহতের খবরের বিষয়ে তারা তদন্ত করছে।
বাগদাদে নিয়োজিত যৌথ বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল জোসেফ স্ক্রোসা বলেছেন, ‘এই অভিযোগের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী বেসামরিক লোক নিহতের প্রকৃত সংখ্যা জানাতে আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা করেছে। তবে বিষয়টি সময় স্বাপেক্ষ। কারণ ঠিক কোন সময়ের হামলায় বেসামরিক লোক নিহত হওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে তা নির্দিষ্ট নয়।’