মো.ছানু মিয়া: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মুগকান্দি গ্রামে মসজিদের কমিটি এবং ইমাম পরিবর্তন নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় লন্ডন প্রবাসীসহ দু’জন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক ব্যক্তি।
শনিবার ফজরের নামাজের পর এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বুলেট ও কাদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহতরা হলেন, পূর্ব মুগকান্দি গ্রামের লন্ডনী বাড়ির ছাবু মিয়ার ছেলে লন্ডন প্রবাসী কবির মিয়া (৪৫) এবং মুসলিম মিয়ার ছেলে মতিন মিয়া (৫০)। কবির মিয়া ঘটনা স্থলে এবং আহত মতিন মিয়াকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।
আহত অন্যদের বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাতকাপন ইউনিয়নের মুগকান্দি জামে মসজিদের কমিটি গঠন ও ইমাম পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর এই দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার জের ধরে শনিবার আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, একপক্ষ বর্তমান ইমান ফরিদ আখঞ্জীর পরিবর্তন চাওয়ার অন্যপক্ষ ওই ইমামের পক্ষে অবস্থান নেয়। এ অবস্থায় সাতকাপন ইউপি চেয়ারম্যান মুগকান্দি গ্রামের আবদাল মিয়া আখঞ্জী গ্রুপের সোহেল মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের শফিক মাস্টারের বাকবিতন্ডা হয়। এ পর্যায়ে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে বাহুবল-নবীগঞ্জ সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র এসএসপি রাসেলুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ সংঘর্ষস্থলে পৌঁছে ১০ রাউন্ড শর্টগানের গুলিছুড়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে।
শুক্রবারের ঘটনার পর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বিষয়টি মিমাংসার জন্য উদ্যোগ নেন। তিনি উভয়পক্ষকে রাতে তার অফিসে আসার আহ্বান জানান। কিন্তু সেখানে লন্ডনি বাড়ির পক্ষ আসলেও আখঞ্জী বাড়ির পক্ষের লোকজন আসেনি।
এক পর্যায়ে রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে উভয় পক্ষের ৮ জনকে আটক করে।
শনিবার ভোরে ফজরের নামাজের পর উভয়পক্ষ আবারও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।