সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সারাবিশ্বে যখন জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হচ্ছে তখন নারায়ণগঞ্জে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত তামিম চৌধুরীর মরদেহ কেন তার পরিবারকে দেওয়া হলো না এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে ঢাকার কানাডীয় হাইকমিশন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে কেন তার লাশ দাফন করার বিষয়টি তাদের জানানো হলো না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া তামিমের বিষয়ে জানতে চেয়ে গত এক বছরে কানাডীয় হাইকমিশন পাঁচবার চিঠি পাঠায় বলেও জানা গেছে। এটা অজানা নয় যে, হলি আর্টিজানে হামলার পর জঙ্গিবাদবিরোধী প্রবল জনমতের কারণে নিহত জঙ্গিদের পরিবার তাদের লাশ গ্রহণ করেনি। এর মাধ্যমে মূলত: দেশে জঙ্গিদের ঘৃণা এবং সামাজিকভাবে বয়কটের ইতিবাচক দিক ফুটে উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় হলি আর্টিজান হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরির লাশও তার পরিবার গ্রহণ করেনি। এছাড়া তার নিহত হওয়ার পর বেশ কয়েকদিন লাশ মর্গে ছিল। তখন কানাডা সরকার কিংবা তার পরিবার ওই জঙ্গির লাশ গ্রহণ করেনি কেন? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মতো আমরাও বলতে চাই: এখন নিহত এই জঙ্গির লাশ যদি তাদের এত প্রয়োজন হয় তারা কবর থেকে মরদেহ তুলে নিয়ে যাক। সঙ্গে আমরা যোগ করতে চাই: বিনিময়ে তাদের আশ্রয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনি নুর চৌধুরিকে ফেরত দিক। আমরা মনে করি, মানবাধিকারের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হলেও জঙ্গিবাদ দমনে কখনও এক্ষেত্রে হয়তো আপোষ করতে হয়। কেননা এক্ষেত্রে পশ্চিমারাও মানবাধিকার পুরোটা রক্ষা করতে পারে না। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার স্পেনের বার্সেলোনা এবং ক্যামব্রিলসে হামলাকারীদেরকেও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আর আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রশিক্ষণও কিন্তু পশ্চিমাদের কাছ থেকে পাওয়া। তাই মানবতার দোহাই দিয়ে এসব বিষয়ে কানাডার বাড়াবাড়ি গ্রহণযোগ্য নয়। বরং তাদের এই চিঠি চালাচালির মাধ্যমে যাতে জঙ্গিরা প্রশ্রয় না পায় এবং আর কোন কানাডিয়ান যাতে জঙ্গিবাদের মাস্টারমাইন্ড না হয় সেই বিষয়ে মনোযোগ দিতে কানাডা হাইকমিশনকে আমরা আহ্বান করছি।