‘সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে বক্তৃতার শেষে জয়বাংলা বলে মাইক রাখা মাত্র গ্রেনেড হামলা শুরু হলো একটার পর একটা। জানিনা আমার কি ভাগ্য! গ্রেনেড ট্রাকের ভেতরেই পরার কথা ছিলো। ডালায় লেগে পাশে পড়ে যায়। নেতা কর্মীরা আমাকে ঘিরে ধরে। আমি বুঝতে পারি আমাকে আগলে রাখা হানিফ ভাইয়ের মাথায় সমস্ত স্প্রিন্টার পড়ছে। মনে হচ্ছিলো কেয়ামত এসে গেছে।’
২১ আগস্টের সেই ভয়াল দিনটির স্মরণে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে দেয়া বক্তৃতায় সেই নারকীয় অভিজ্ঞতার এমন বর্ণনাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি স্বাধীন দেশ, পার্সপোর্ট, পতাকা দিয়ে গেলেন অথচ তাকে যখন হত্যা করা হয় তখন ষড়যন্ত্রের গভীরতা উপলব্ধী করা যায়। উপরে আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছে মাথা নত করি না।
“কারণ আমি জাতির পিতার কন্যা। এটা আমি মনে রাখি।”
তিনি বলেন, এদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে আমার বাবা-মা-ভাই জীবন দিয়ে গেছেন। তাদের স্বপ্ন পূরণেই কাজ করবো।
সেই হামলার সাথে বিএনপির সম্পৃক্ততার উল্লেখে তিনি বলেন, “সেদিন আমাদের কোন ভলান্টিয়ারকে ছাদে গিয়ে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে দেয়নি। পুলিশ নীরব ছিলো। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিলো না। উদ্ধার ব্যবস্থা না করে পুলিশ লাঠি চার্জ করে, টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে। উদ্ধারে ছুটে আসা নেতাদের টিয়ার গ্যাস মারে, লাঠিচার্জ করে। পৃথিবীতে এমন কোন ইতিহাসে আছে কিনা জানা নেই।
‘এই ঘটনার পরপর আহতদের উদ্ধার না করে কেন লাঠিচার্জ করলো এটা আমার প্রশ্ন। হামলাকারীরা যাতে পালিয়ে যেতে পারে? ঘাতকের দল যাতে নির্বিঘ্নে সরে যেতে পারে?’