চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নেতানিয়াহু বড় বাধা: ট্রাম্প

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের চেয়ে ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বড় বাধা মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে চূড়ান্ত শান্তি প্রতিষ্ঠায় উভয় দেশের নেতৃবৃন্দই সমস্যা সৃষ্টি করেছিলেন বলেও জানান তিনি।

গত মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভা চলাকালে নিয়মিত কর্মসূচির বাইরে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টনি গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখে নিয়মিত কর্মসূচির বাইরে ১৫ মিনিটের ওই বৈঠকের প্রায় সম্পূর্ণ সময় ইসরাইল-ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। ছয় জন পশ্চিমা কূটনৈতিকসহ ইসরাইলের সাবেক এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাদের নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বৈঠক সম্পর্কে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন। বৃহস্পতিবার ইসরাইলের কয়েকটি গণমাধ্যম এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

ওই বৈঠক খুবই সংক্ষিপ্ত ও সফল হয়েছিল উল্লেখ করে হোয়াইট হাউজের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন: জাতিসংঘে ইসরাইলকে সমর্থন ও রক্ষার বিষয়ে আলোচনা হওয়ার পর বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা চলমান শান্তি আলোচনা নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন।

এসময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সব দেশের সমর্থনে ‘শান্তি চুক্তি’র মাধ্যমে আরব উপত্যকায় শান্তি আনার বিষয়ে তার দৃঢ় প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন। যারা এই চুক্তিতে বিশ্বাস করে না তাদের বাদ দিয়ে যারা চুক্তির পক্ষে কাজ করছেন বা কাজ করতে আগ্রহী শুধু তাদের সঙ্গে আলোচনাকে গুরুত্ব দেন তিনি।

মধ্য প্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে চলতি বছরের শুরুতে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনকে ছাড়াই প্যারিসে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় যাতে ৭০টি দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তবে আলোচনার ফলাফল শুনতে আমন্ত্রণ পেয়েছিল ওই দুই দেশ। এর আগে ২০১৪ সালের এপ্রিলে দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার সংলাপ ফলপ্রসু হয়নি।

এরপর এ ধরনের কিছু প্রচেষ্টা নেওয়া হলেও তাতে সফলতা আসেনি। ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাদের শাসনামলে সেটি ছিল দ্বিতীয় উদ্যোগ। এর আগে ২০১৩ সালের জুনে ২০টি দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে একই ধরনের সম্মেলন হয়েছিল।

১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর পূর্ব ইসরাইল জেরুজালেমের অধিগ্রহণ করলে তা জাতিসংঘসহ অনেক দেশের পক্ষ থেকে মেনে নেয়া হয়নি। সেখানে ইহুদি বসতি নির্মাণ বন্ধ করার দাবি নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাস হওয়ার পর ইসরায়েল ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে।