ভোলার সাগর মোহনার দ্বীপ কুকরি মুকরিতে বাণিজ্যিকভাবে কাঁকড়া চাষের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কম সময়ে বেশী লাভ হওয়ায় এ অঞ্চলে বাড়ছে কাঁকড়ার খামার ।
ইলিশ ও চিংড়ির পর কাঁকড়া এখন এ অঞ্চলের জেলেদের কাছে মূল্যবান সম্পদ। ইতোমধ্যেই কাঁকড়া চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেকে।
ভোলার চরফ্যাশনের কুকরি মুকরিতে খামারে শুরু হয়েছে কাঁকড়া চাষ। স্বল্প পুঁজিতে বেশি লাভজনক হওয়ায় উপকূলীয় এ অঞ্চলে দিন দিন বাড়ছে কাঁকড়া চাষ । কয়েক বছর আগে কুকরি মুকরির কাঁকড়া চাষি খলিলুর রহমান, অনাবাদি ১৫ একর জমিতে ঘের তৈরী করে শুরু করেন কাঁকড়া চাষ।
নদী থেকে জেলেদের ধরে আনা ছোট ছোট কাঁকড়া এনে ওই খামারে ছাড়া হয়। জেলেদের ফেলে দেয়া কুচিলা, চিংড়ি ও শুটকি কাঁকড়ার খাবার হিসাবে ব্যবহার করেন খামারীরা । তিন মাস পরই ওই কাঁকড়ার ওজন হয় দুশ’ থেকে তিনশ’ গ্রাম। এরপর বিক্রির জন্য এসব কাঁকড়া পাঠানো হয় ঢাকায়।
খামারে বড় হওয়া এসব কাঁকড়া প্রক্রিয়াজাত করে বিদেশেও রপ্তানী করা হচ্ছে। কাঁকড়া চাষ করে বছরে কয়েক লাখ টাকা আয় করা সম্ভব বলে মনে করেন খামারীরা । ভোলা থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রায় সাতশ’ কেজি কাঁকড়া ঢাকায় পাঠানো হয়।
খাল বিলের পানি কমে যাওয়ায় নভেম্বর মাস থেকে চর কুকরী-মুকরীসহ সাগরমোহনার ডুবোচর ও ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলগুলোতে প্রতিদিন শত শত জেলে কাঁকড়া শিকার করছেন।
শীত মৌসুমে থেকে ভোলার দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীতে মাছ কমে যাওয়ায় বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে কাঁকড়া শিকার বেছে নেন জেলেরা। বাজারে আকার ভেদে প্রতি কেজি কাঁকড়া বিক্রি হচ্ছে চারশ’ থেকে আটশ’ টাকায়।
বিস্তারিত দেখুন ভোলা প্রতিনিধি হারুন উর রশীদের পাঠানো তথ্য ও ভিডিও চিত্র নিয়ে সুদীপ্তা মাহমুদের রিপোর্টে:
https://youtu.be/BdPHuqMpTXA