বসতি স্থাপন ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটিতে হেরে জতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে তুলোধুনা করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
তিনি বলেছেন, অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূ-খণ্ডে ইসরাইলের অবৈধ বসতি স্থাপনের অবসান ঘটানোর জন্যে জাতিসংঘ যে আহ্বান জানিয়েছে তা লজ্জাজনক।
‘ইসরাইলবিরোধী ঘৃণ্য এই প্রস্তাব ইসরাইল মেনে চলবে না’ বলেও সাফ জানিয়ে দেন নেতানিয়াহু। তার দাবি ওমাবা এই ভোটের পক্ষে রাষ্ট্রীয় সমর্থনের জন্য নিউজিল্যান্ড ও সেনেগাল থেকে রাষ্ট্রদূতদের দেশে ডেকে এনেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র ভেটো না দেয়ায় শুক্রবার প্রস্তাবটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ১৪-০ ভোটে পাস হয়। যুক্তরাষ্ট্র এতে ভোটদানে বিরত থাকে। এটি আমেরিকার দীর্ঘ দিনের নীতির পরিবর্তন।ইসরাইল এ প্রস্তাবের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানানোর পর মিশরের খসড়া প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেয়া হলেও মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, সেনেগাল ও ভেনিজুয়েলা আবারো এ প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করে।
টাইমস অব ইসলাইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট অফিস থেকে দেয়া এক বিবৃতি জানানো হয়েছে সুনিশ্চিতভাবে জাতিসংঘে ইসরাইলবিরোধী ঘৃণ্য পাশ করা প্রস্তাব ইসরাইল প্রত্যাখ্যান করে এবং এটা কখনো মেনে চলা হবে না।’
নেতানিয়াহু বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদ সিরিয়ায় যখন ৫০ লাখ মানুষকে গণহত্যা থেকে রেহাই দিতে পারে না, তখন ইসরাইলের মতো মধ্যপাচ্যের একমাত্র গণতান্ত্রিক দেশের বিরুদ্ধে এই ধরনের প্রস্তাব পাশ করা লজ্জাজনক।’
প্রস্তাব পাশের ক্ষেত্রে ওবামার ভূমিকার কথা উল্লেখ করে ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ওবামা প্রশাসন জাতিসংঘের এই হয়রানি থেকে ইসরাইলকে রক্ষা করতে শুধু ব্যর্থই হয়নি, তারা লোকচক্ষুর অন্তরালে সহযোগিতা করেছে।’
শুধু জাতিসংঘ ও ওবামাকেই তুলোধুনা করেনি ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট, সেই সাথে হুমকি দিয়েছেন সেনেগাল ও নিউজিল্যান্ডকেও। নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি দ্রুতই দেশ দুটি থেকে রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করবেন। এছাড়া আগামী মাসে সেনেগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অফিসিয়াল সফরে ইসরাইলে ডেকে সেদেশে দেয়া সবরকম ইসরাইলি সাহায্য বন্ধ করবেন।