চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

‘ভোটার না হওয়া পর্যন্ত মিলন থেকে বিরত থাকুন’

“আপনার স্বামী ভোটার না হওয়া পর্যন্ত মিলন থেকে বিরত থাকুন। নারীরা, এই কৌশলই আপনাদের নেয়া উচিত। এটাই সেরা। আপনাকে ভোটার কার্ড না দেখানো পর্যন্ত আপনি অস্বীকারে দৃঢ় হোন।” কেনিয়ার নির্বাচনকে সামনে রেখে নারীদের প্রতি এমন আহ্বান দেশটির একজন নারী সাংসদের। উপকূলীয় শহর মোমবাসার এই জনপ্রতিনিধি মিশি মবোকো পন্থাটিকে বিরোধী ভোটের জোয়ার আনার অনুকূল বলেও অভিমত দেন।

পূর্ব আফ্রিকার এই রাষ্ট্রপতি শাসিত গণপ্রজাতন্ত্রিক দেশটিতে আগামী ৮ আগস্ট প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কেনিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট (এপ্রিল, ২০১৩) উহুরু কেনিয়াত্তা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসতে চান। তার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিবেন বিরোধি দলগুলোর জোটের একজন প্রার্থী, এমনটাই প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এই বিরোধি দলগুলোর মধ্যে মবোকোর দল ওডিএম-ও রয়েছে। এই নির্বাচনে ভোটার হওয়ার নিবন্ধন শেষ হবে ১৭ ফেব্রুয়ারি।

ভারত মহাসাগরের কূল ঘেঁষা দেশটিতে ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। তবে এই (বয়কটের) অবিচল অবস্থানের পরও তার স্বামীকে কোন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে না বলেও জানান মবোকো। কারণ তার স্বামী ইতিমধ্যেই ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন। দ্য স্ট্যান্ডার্ড নিউজ পেপারের সূত্রে এমনটি জানায় বিবিসি।

মবোকো বলেন, সেক্স একটি শক্তিশালী অস্ত্র এবং তা নিরুৎসক পুরুষদের দ্রুত ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হতে অনুপ্রেরণা দিবে।

এই নির্বাচনে বিরোধী দলের জয়ের ভালো সুযোগ দেখছেন তিনি। তবে এর জন্য সমর্থকদের বিপুলভাবে ভোটার হতে হবে। যার জন্যই তার এমন কঠোর আহ্বান।

তবে কেনিয়ায় এমন সেক্স বয়কটের আহ্বান কিন্তু বিরল নয়। ২০০৯ সালেও তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মোয়াই কিবাকি ও প্রধানমন্ত্রী রাইলা ওদিঙ্গার এবং তাদের জোটের বিবাদের প্রেক্ষিতে এমনটি ঘটেছিলো। পক্ষগুলোর মধ্যে সমঝোতা আনতে সপ্তাহব্যাপি সেক্স ধর্মঘট পালন করেছিলেন নারীরা।